একসময় ঘর পরিবার সবই ছিল কিন্তু সবকিছু ত্যাগ করে সন্ন্যাস জীবন নিয়ে নবদ্বীপের রানীর চড়া এলাকায় বর্তমানে মাচান বাবার স্থান গাছের ওপরে। একা একাই নিজের দক্ষতার বলে গাছের উপর একটি ঘর বানিয়েছেন তবে সেই ঘরে নেই কোন বৈদ্যুতিক আলো কিংবা ফ্যানের। একাই থাকেন তবে বর্তমানের সঙ্গী গাছের পোকামাকড়, কুকুর, হনুমান, এমনকি সাপও বলে জানান তিনি। প্রতি রবিবার মাচান বাবা শহরের বুকে নামেন ভিক্ষে করতে।
advertisement
লোকে যে যা দেয় তাই খান। ঘরের মধ্যে রয়েছে একাধিক ঠাকুরের মূর্তি ও ছবি নিয়মিত পুজো করেন তিনি এরপর সেই পুজোর প্রসাদ ভাগ করে খান পশুপাখি এমনকি হনুমানের সঙ্গে। তিনি জানান বর্তমানে এদেরকে নিয়েই তার জীবন। এদের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যাওয়ার কারণে কোনও পশু পাখি কোনদিনও ক্ষতি করেনি মাচান বাবার।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার সেন্টারের আড়ালে আর্থিক প্রতারণা! অবশেষে সিআইডির হাতে গ্রেফতার
তার ঘরে রয়েছে একটি রেডিও আমরা মাচান বাবার গাছে উঠে ঘরে যাওয়ার মত পরিস্থিতি পেলাম না। তবে ক্যামেরা নিয়ে যেটুকু স্থানে পৌঁছলাম দেখলাম অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরের মধ্যে রয়েছে একটি স্টোভ যেখানে ভিক্ষে করে যা পান তাই দিয়ে রান্না করে খান। তবে বর্ষার দিনে একটু সমস্যা হয় তার বলে জানালেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ এটি নদী নাকি স্কুলের রাস্তা! হিমসিম খেতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের
স্টোভের ভেতরে জল ঢুকে যায় তখন আগুন ধরতে চায় না , তাই রান্না করতে সমস্যা হয়। একবার এলাকার কিছু মানুষ দু একটি ত্রিপল দিয়ে সাহায্য করলেও সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা এখনও পর্যন্ত পাননি বলে দাবি করেন তিনি। প্রকৃতিকে ভালোবেসে তাদের সঙ্গে মিশে যাওয়া এবং দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে গাছের উপরে ঘর বানিয়ে থাকার মাচান বাবাকে শ্রদ্ধা করেন গোটা নবদ্বীপ বাসী।
Mainak Debnath