আরও পড়ুন: আড়াই মাস পর উপাচার্য পেল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়! কে হলেন ভিসি?
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরে একমাত্র রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদির জন্মদিবস পালন করা হয়। সরকারিভাবে কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। ১২৭১ বঙ্গাব্দের ৫ ভাদ্র (ইংরেজি ২২ অগস্ট, ১৮৬৪ সাল) আজকের দিনে জেমোর ত্রিবেদি পরিবারের গোবিন্দ সুন্দর ও চন্দ্র কামিনীর ঘর আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন রামেন্দ্রসুন্দর। বিজ্ঞান সাধনার পাশাপাশি বাংলা ভাষার একজন স্বনামধন্য লেখক ছিলেন। তিনি প্রচুর গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচনা করেন এবং বক্তৃতার মাধ্যমে বাঙালিকে বিজ্ঞান চর্চায় অনুপ্রাণিত করেন। তাঁর কোনও মৌলিক গবেষণা বা আবিষ্কার নেই, তবে তিনি মূলত লেখনীর মাধ্যমেই একজন বিজ্ঞানী ও শাস্ত্রজ্ঞের মর্যাদা লাভ করেছেন। বিশুদ্ধ বিজ্ঞান ছাড়াও তিনি দর্শন ও সংস্কৃত শাস্ত্রের দুর্বোধ্য বিষয়গুলো সহজ বাংলায় পাঠকের উপযোগী করে তুলে ধরেন।
advertisement
জন্মসূত্রে তিনি বাঙালি না হয়েও আজীবন বাংলা ভাষার চর্চা করে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সূচনার আগেই ১৮৭৮ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে জেমো রাজপরিবারের নরেন্দ্র নারায়ণের কনিষ্ঠ কন্যা ইন্দুপ্রভা দেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। শৈশবকাল থেকেই রামেন্দ্রসুন্দর মেধাবী ছিলেন। তিনি ১৮৮১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং ২৫ টাকা বৃত্তি লাভ করেন। ১৮৮৩ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন এবং একটি স্বর্ণপদক ও বৃত্তি পান। একই কলেজ থেকে ১৮৮৬ সালে বিজ্ঞানে অনার্স সহ বিএ পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৮৮৭ সালে এমএ পরীক্ষায় বিজ্ঞানশাস্ত্রে স্বর্ণপদক ও পুরস্কার সহ প্রথম স্থান পান এবং ১৮৮৮ সালে পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি পান। ১৮৯২ সালে রিপন কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নশাস্ত্রের অধ্যাপক হন। পরবর্তীতে প্রথমে ছয় মাসের জন্য অস্থায়ী অধ্যক্ষ এবং শেষে স্থায়ী অধ্যক্ষ হন। ২৩ জৈষ্ঠ ১৩২৬ সালে (ইংরেজির ৬ জুন, ১৯১৯ সাল) রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদি প্রয়াত হন।
কৌশিক অধিকারী