তবে বিক্রি বাটা খুব একটা ভালো হয় না। বিহার থেকে এসে তিন মাস থেকে বাঁশি বিক্রি করে পেট চালানোর মত রোজগারটুকু হয়। বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশি যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে। এক সময় শহর ও গ্রামের বিভিন্ন স্থানে বাঁশিওয়ালার আনাগোনা দেখা গেলেও দিন দিন তা হারিয়ে যাচ্ছে। তবে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও এটি ধরে রেখেছেন বিহার থেকে বঙ্গে আসা আসলম মিঞা।
advertisement
সবাই তাঁকে বাঁশিওয়ালা আসলম মিঞা নামেই চেনেন। মাঝে মধ্যেই কান পাতলে বাড়ির বাইরে শোনা যাবে মিষ্টি মধুর বাঁশির সুর। বহরমপুর শহরের রাজপথ থেকে শুরু করে অলিগলি পাড়ায় পাড়ার বাঁশি বিক্রি করছেন সুদুর বিহার থেকে আসা আসলম মিঞা। মুর্শিদাবাদের কান্দিতে থাকেন তিনি। বাঁশিই তার রুজি রোজগারের একমাত্র সম্বল। নিজে হাতেই এই বাঁশি তৈরি করেন। একটা বাঁশি তৈরি করতে ১০ দিন সময় লাগে।
আরও পড়ুন : ট্রাক থামাতেই চক্ষু চড়কগাছ শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের, উদ্ধার ৪৬৩ কেজি দুর্মূল্য খোসা
আরও পড়ুন : বাড়িতে তৈরি ধূপে দুর্গার আরাধনা, তিনশো বছর ধরে দাস পরিবারে এটাই রীতি
চাহিদা থাকলেও অর্থের অভাবে তিনি পাইকারিভাবে বিক্রি করতে পারছেন না। বাঁশি বানানোর পাশাপাশি তিনি সুমধুর সুরে বাজাতেও পারেন। আর তাই বাঁশিপ্রিয় মানুষরা আকৃষ্ট হয়ে বিনোদনের জন্য তাঁকে নিয়ে যান। তবে নবাব নগরী মুর্শিদাবাদ জেলার আনাচে কানাচে এই বাঁশি বিক্রি করছেন তিনি।





