বাংলার লোক সংস্কৃতির অন্যতম একটি অংশ হল বোলান গান। আধুনিকতার ধুলো জমতে জমতে যা বর্তমানে প্রায় অবলুপ্তির পথে। তবে এখনও গাজনের সময় প্রতি বছরই বাংলার গ্রামে-গঞ্জে দেখা মেলে বোলান গান-ওয়ালা শিল্পীদের। 'বোলান’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল প্রবচন। তবে বাংলার লোকসংস্কৃতির গবেষকদের একাংশের মতে, ‘বুলা’ বা ভ্রমণ থেকেই বোলান শব্দের উৎপত্তি। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে গাওয়া এই পালা গান তাই ‘বোলান গান’ নামেই পরিচিত। তরজা গানের সঙ্গে এর ফারাক রয়েছে বিস্তর। আবার মিলও রয়েছে। বোলান গানের ক্ষেত্রে শিল্পীরা দলবদ্ধ হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে গানের আসর বসান। দলে একজন গুরু থাকেন। তিনি ঢোলের তালে তালে গান গাইতে থাকেন। বাকিরা সুর মিলিয়ে তালে তালে ধুয়ো তোলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমে পুড়ে যাচ্ছেন? জিভে ঠেকান এই জিনিস! মুহূর্তে কনকনে ঠান্ডা! শরীরে আরাম!
আরও পড়ুন, গ্যাসের সিলিন্ডার কেন গোলাকৃতি হয়! রয়েছে এক আজব কারণ, অনেকেই জানেন না
বোলান গানের আয়োজন করা হয় বৃহস্পতিবার রাতে বড়ঞার গোপালনগর গ্রামে। বোলান গান দেখেতে ভিড় জমিয়েছিলেন এলাকার আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ। দ্বাদশ শতকের পর থেকে বাংলার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মের নানা পালাবদল, ভয়, দুঃখ, আশঙ্কা, উৎসব, বিশ্বাস ধরা পড়ে এই বোলান গানের প্রচলিত কথায়, সুরে। ঐতিহ্যের বোলান গান পরিবেশনকারী শিল্পির সংখ্যা এখন হাতে গোনা। মুষ্টিমেয় কিছু দরিদ্র শিল্পীর উৎকৃষ্ট পরিবেশনে আজও বেঁচে আছে ঐতিহ্যের বোলান গান।
কৌশিক অধিকারী





