মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ঐতিহাসিক দ্রষ্টব্য স্থানের মধ্যে নশিপুর রাজবাড়ি অন্যতম। মুর্শিদাবাদ শহরের প্রধান আকর্ষণ হাজারদুয়ারি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই রাজবাড়ি। আজকের দিনে রাজবাড়ির সমস্তটাই ঝাঁ-চকচকে হলেও গত কয়েক বছর আগেও ছবিটা এমন ছিল না। এই রাজবাড়িকে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরার সম্পূর্ণ কৃতিত্বই রাজবাড়ির বংশধর প্রয়াত সৌরেন্দ্রমোহন সিংহ ও স্থানীয় পাঁচজন যুবকের। অবলুপ্তির হাত থেকে ঐতিহাসিক নশিপুর রাজবাড়ি রক্ষার দায়িত্ব তারা কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।
advertisement
ফরাগঞ্জের দেবোত্তর ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি মুর্শিদাবাদের একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। এটি মুর্শিদাবাদ পৌরসভা কর্তৃক ঘোষিত ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য। আনুমানিক ২৫০ বছর আগে এই রাজবাড়িটি নির্মিত হয়। ১১৬৮ সালে মহন্ত লছমন দাস ঢাকার ঊর্দু বাজার থেকে এসে মীর জাফরের আদি বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এই জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন।
বিস্তৃত এই জায়গায় আছে প্রাচীন কাষ্ঠশিল্পে খোদাই করা এবং রাজস্থানের তুষারশুভ্র মর্মরে শতাধিক বছরের প্রাচীন প্রাসাদ। বয়সের ভারে প্রাসাদটি আজ জরাজীর্ণ অবস্থায়। সেটি বন্ধই থাকে। পাশের ভবনে আছে ঐতিহ্যবাহী সোনার রথ, বেলোয়ারি ঝাড়, ঐতিহ্যময় আসবাবপত্র, প্রাচীন যুগের বেবি অস্টিন মোটর যান, পুরনো রান্নার সরঞ্জাম। কথিত আছে, প্রাচীন যুগের এই বেবি অস্টিন গাড়িটি আশি টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল, যা আজ ছোট একটি গ্যারেজে রাখা আছে। পাশেই আছে সোনার রথ। দর্শনার্থীদের জন্য দিনের সব সময়ই এটি খোলা থাকে।





