শনিবার সকালে মালদহের ইংরেজবাজার থানার সাত্তারি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামের বাসিন্দারা প্রথমে দেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। দেহটি চিহ্নিত করে পরিবারের লোকেদের ও পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। হঠাৎ কীভাবে মৃত্যু হল ওই যুবকের তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নামছে পারদ, সপ্তাহান্তে শীতের আমেজে বেড়িয়ে আসুন বীরভূম, আজকের আবহাওয়া জানুন
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ইন্দ্রজিৎ ঘোষ (২৬)। বাড়ি ইংরেজবাজার থানার সাত্তারি গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে বাড়িতেই ছিল ওই যুবক। শনিবার ভোর নাগাদ বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বেরিয়ে পরে। সকালবেলা পরিবারের লোকেরা খবর পায় গ্রামের পাশে সাত্তারি ব্রিজ সংলগ্ন আমবাগানে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আম বাগান।
এ দিন সকালে গ্রামের বাসিন্দারা আম বাগানের মধ্যে প্রথম দেখতে পায় দেহটি। পরিবারের লোকেদের দাবি, সমস্ত কিছু ঠিকঠাকই ছিল। কোনও মানসিক অবসাদ পর্যন্ত ছিল না। পরিবারে লোকেদের অভিযোগ, কেউ বা কারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে খুন করেছে। শ্বাসরোধ করে খুন করার পর আম বাগানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এমনটাই অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ খাদ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মী মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ! মাসিক বেতন শুনলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে
মৃতের এক আত্মীয় সৌরভ ঘোষ বলেন, বিষয়টি সকালে আমরা জানতে পেরেছি। বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আমবাগানের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়েছে। আম বাগানে যে অবস্থায় দেহটি ঝুলছিল তা দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে কেউ বা কারা খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক অনুমান খুন করা হয়েছে। কারণ তার কোন মানসিক অবসাদ ছিল না। কারও সঙ্গে কোনও বিবাদ ছিল কিনা সে বিষয়ে আমাদের কোনও ধারণা নেই। কে বা কারা খুন করল সেটিও আমরা জানি না। পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
এ দিকে এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত নেমেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
Harashit Singha