শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পদচিহ্ন পর্যন্ত রয়েছে এই রামকেলি ধামে। এরপরই গৌড়ের একের পর এক একাধিক নিদর্শন রয়েছে যেগুলি আপনি দেখতে পারবেন। গৌড়ের চারদিক আম বাগানে ঘেরা মনোরম পরিবেশ। শরতের এই সময় ঘুরতে পর্যটকদের কোনও সমস্যায় হবে না গৌড়ের বিভিন্ন প্রান্ত।গৌড় প্রাচীন বাংলার রাজধানী বর্তমান মালদহ জেলায় অবস্থিত।এখানেই রয়েছে প্রাচীন বাংলার রাজধানীর ধ্বংসস্তূপের শহর। গৌড় ১২ম থেকে ১৬ম শতাব্দীর মধ্যে বাংলার রাজধানী হিসাবে বিরাজমান ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন-আচমকাই বিরাট অঘটন! উৎসবের মরশুমে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে ‘এই’ বাঙালি অভিনেতা
চার শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একজনের বেশি রাজবংশ শাসন করেছেন।বর্তমানে এটি বাংলার ইসলামিক আমলের দর্শনীয় ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অন্যতম। ইতিহাস এবং তার সাথে স্থাপত্যকলা মিলে মিশে রয়েছে এই প্রাচীন শহর গৌড়ে।প্রাচীন ভগবান লক্ষণ দ্বারা ভূমির আবিষ্কার হয়েছিল এখানে। এই শহরটির উল্লেখ প্রায় ৫০০ খ্রিস্টপূর্ব পুরাণ গ্রন্থগুলিতে করা হয়েছে। সেই সময়ে গৌড় যথারিতি মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। ইতিহাসবিদ এম আতাউল্লাহ বলেন, মালদহের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে। এইগুলো সংরক্ষণ ঠিকমতো করলে আরও বেশি আকর্ষণীয় হবে পর্যটকদের কাছে।
অষ্টম শতাব্দী থেকে একাদশ শতাব্দী পর্যন্ত, বাংলা পাল রাজবংশের শাসনের অধীনে ছিল। বাংলার বৌদ্ধ জীবনযাত্রার অনুসরণে এই শহরের ব্যাপক উত্থান হয়েছিল এসময়। পাল রাজাদের শাসনের পরে সেন রাজবংশের শাসন ঘটে, যা মুঘল এবং আফগানরা দ্বাদশ শতাব্দীতে দখল করে।গৌড় যথাক্রমে খিলজি বংশ, মামলুক সলতানত, বলবান রাজবংশ এবং তুঘলক সুলতানতের রাজধানী শহর হিসাবে বর্তমান থাকে। প্রাচীন এই শহরের বহু ধ্বংসাবেশ বর্তমানে এখনও রয়ে গেছে, বর্তমান মহদীপুর পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। ইতিহাসের বহু সাক্ষী এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে এখানে। যা দেখতে পর্যটকেরা এখনও ভিড় করেন গৌড়ে।
হরষিত সিংহ