মণ্ডপে পা রেখেই দর্শনার্থীরা যেন পৌঁছে যাচ্ছেন সেই ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রার মহোৎসবে। থার্মোকল, কাঠ, কাপড় এবং নানান শৈল্পিক উপকরণ দিয়ে নির্মিত এই মণ্ডপটি কেবল একটি পুজোস্থল নয়, বরং হয়ে উঠেছে ধর্ম, সংস্কৃতি ও শিল্পের এক আশ্চর্য মেলবন্ধনের কেন্দ্রবিন্দু।
আরও পড়ুন: আজারবাইজানে ভারতের ‘১ টাকার’ দাম কত বলুন তো…? শুনলেই চমকে যাবেন!
advertisement
রথের কাঠামো, অলঙ্করণ ও আচার-অনুষ্ঠানের প্রতিটি পরতে পরতে প্রতিফলিত হয়েছে পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রার অনন্য সৌন্দর্য ও মহিমা। থিম অনুযায়ী নির্মিত প্রতিমা ও নান্দনিক আলোকসজ্জায় এসেছে অভিনবত্বের ছোঁয়া, যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে বিশেষভাবে। প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বাজেটে নির্মিত এই বিশাল মণ্ডপ ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার অপূর্ব মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা এই আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়।
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য ডি মনোজ কুমার জানান, “প্রতিবছরই আমরা দর্শনার্থীদের জন্য কিছু নতুন, কিছু বিশেষ কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি। এবছরের রথযাত্রা থিম সেই প্রচেষ্টারই ধারাবাহিকতা।” তিনি আরও বলেন, “এই থিমে শুধুমাত্র ধর্মীয় ভাবনাই নয়, তুলে ধরা হয়েছে আমাদের শৈল্পিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও। দর্শনার্থীরা যেন এক অন্যরকম অনুভবের স্বাদ পান।”
রঘুনাথপুরবাসীর জন্য এই পুজো এখন শুধুই এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং হয়ে উঠেছে গর্বের প্রতীক। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভিড়ই বলে দেয়, আপার বেনিয়াশোলের দুর্গাপুজো কতটা মন জয় করছে সকলের।