সন্দেহ হলে গ্রামের বাসিন্দারা দুই যুবককে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে অসংগতি ধরা পড়ে তাদের কথায়। তারপরে উত্তেজিত জনতা দুইজনকে গরুচোর সন্দেহ করে। দুই যুবককে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। শুরু হয় ব্যাপক হারে গণধোলাই। বেশ কিছুক্ষণ মার ধরার পর গ্রামের বাসিন্দারাই খবর দেয় স্থানীয় বিএসএফ ক্যাম্পে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা। গ্রামের বাসিন্দারা মারধর দিয়ে বিএসএফের ৪৪ নং ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের হাতে তুলে দেয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রতিশ্রুতিই সার! কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে বেহাল রাস্তা এই গ্রামে
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত যুবকদের নাম, আসরাফুল হক (২৫)। বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের আলালপুর এলাকায়। আরেকজনের নাম ইয়াকুব মালিক (২৪)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর তপন থানা এলাকায়।গরু পাচার নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় একাধিক নেতা আমলা ধরা পড়েছে সিবিআইয়ের জালে। এমন সময় মালদহ জেলার ইংরেজবাজার ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কুমারপুর গ্রামে গরু চোর সন্দেহে দুই যুবককে ধরে গণপ্রহার দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টির অভাব! ধানের জমির মাটি ফেটে রয়েছে বর্ষার মরশুমে
গ্রামবাসীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে এমন ঘটনা। জিজ্ঞাসাবাদের পর ধৃত দুই যুবককে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দিবে বিএসএফ বলে জানা গিয়েছে। গরু চুরি নাকি অন্য কোন কারণে ঘোরাঘুরি করছিল এলাকায় অভিযুক্তরা। নাকি অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের চেষ্টা করছিল। পাশাপাশি এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বিএসএফ ও ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
Harashit Singha