মালদহের এই সিল্ক পার্ক জেলার রেশম শিল্পের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে নিয়মিত জেলার রেশম চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলার কালিয়াচকের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রেশম কারখানা। কৃষকদের কাছ থেকে রেশম গুটি কিনে তারা সুতো তৈরি করে। সম্পূর্ণ ও অত্যাধুনিক পরিকাঠামো না থাকায় উৎপন্ন রেশম সুতো বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় এই ব্যবসায়ীদের। সেই সমস্যা সমাধানের জন্যই সিল্ক পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই সিল্ক পার্কটি চালু হয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাইকের সামনে পটকা ফেলা নিয়ে উত্তেজনা, ডোমকলে বোমাবাজি
সম্প্রতি এই সিল্ক পার্কের পরিকাঠামো নিয়ে জেলা প্রশাসনের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, অতিরিক্ত জেলাশাসক শম্পা হাজরা, ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রি সেন্টার মালদহের জেনারেল ম্যানেজার সুমনানন্দ মণ্ডল, মালদহ শিল্প কেন্দ্রের আধিকারিক মানবেন্দ্র মণ্ডল সহ অন্যান্য আধিকারিক। বৈঠকে মূলত সিল্ক পার্ক চালু করার ক্ষেত্রে বর্তমানে কী কী পরিকাঠামো নির্মাণ বাকি আছে তা নিয়ে মতবিনিময় হয়।
ইংরেজবাজারের মধুঘাটে এই সিল্ক পার্কের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি মালদহে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী সিল্ক পার্ক দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। এই শিল্প পার্কের দুটি ব্লক আছে। একটিতে রেশম গুটি, রেশম সুতো এই সমস্ত বিক্রি, কৃষক-ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। অপরদিকে সিল্ক কাপড়, খাদি কাপড় বিক্রির জন্য পরিকাঠামো করে তোলা হয়েছে। আমজনতা এখান থেকে কাপড় কিনতে পারবেন। এছাড়াও রাজ্য ও রাজ্যের বাইরের ব্যবসায়ীরা এখানে এসে উন্নত মানের রেশম সুতো কিনতে পারবেন। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে সরকারি নিয়ম মেনে শিল্প পার্কের দোকান ঘর বিতরণের কাজ সেরে ফেলেছে। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, সিল্ক পার্ক দ্রুত চালু করার ব্যাপারে সর্বস্তরের ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোথাও কোনরকম সমস্যা নেই। সিল্ক পার্কে উৎপাদন এবং বিপনন দু’টোই হবে। সরকারি উদ্যোগে এই সিল্ক পার্ক গড়ে ওঠায় খুশি জেলার রেশম চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
হরষিত সিংহ