এই সার মালদহ জেলা সহ আশেপাশের জেলা গুলিতে কৃষি কাজে ব্যবহার করা হবে। মালদহ শহরের ফার্মের একাংশে পশু হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হচ্ছে এই প্রকল্প।মালদহ জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের নাম পোল্ট্রি বর্জ্য দ্বারা প্রস্তুত বায়ো মিথিলেশন প্ল্যান্ট।
আরও পড়ুন: AC-র গ্যাস কি সত্যিই ফুরিয়েছে! ঠকে যাওয়ার আগে পরীক্ষা করে দেখে নিন নিজেই!
advertisement
এই প্রকল্পের মূলত মুরগির বর্জ্য থেকে সার তৈরি করা হবে। সম্পূর্ণ জাপানি পদ্ধতিতে এই সার তৈরি করা হবে। বর্তমানে কৃষকেরা মুরগির বর্জ্য থেকে তৈরি যে জৈব সার ব্যবহার করেন তা থেকে দূর্গন্ধ ছড়ায়। কিন্তু এই প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তিতে জৈব সার তৈরি করা হবে। সেখান থেকে কোন দুর্গন্ধ ছাড়াবেনা। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মালদা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরকে প্রায় ২৪.৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের অধীনস্থ ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এই প্রকল্পটির দেখভাল করবে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মালদহ জেলায় তৈরি করা হচ্ছে পোল্ট্রি ফার্ম। এই ফার্মে ৩ লক্ষ মুরগি পালন করা হবে। সাধারণত ডিমের জন্য এই মুরগি পালন করা হবে মালদহে। তিন লক্ষ মুরগির বর্জ্য প্রতিদিন মিলবে। এই বর্জ্য না ফেলে সেগুলি থেকে উন্নত পদ্ধতিতে সার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে প্রকল্পের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। মালদহ জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,
সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো চলতি বছরের অক্টোবর নভেম্বর মাস থেকেই চালু হতে পারে জৈব সার তৈরির প্রকল্প। বর্তমানে জেলার কৃষকেরা রাসায়নিক সার ব্যবহার করছেন। এতে জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। আগামীতে কৃষকেরা যেন জৈব সার ব্যবহার করেন সেই লক্ষ্যে এমন প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা সরকারের। মুরগির বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি হলে কৃষকেরা অনেকভাবেই উপকৃত হবেন।
অল্প দামে সরকারিভাবে মিলবে এই সার।মালদহ জেলা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিক ডক্টর উৎপল কুমার কর্মকার বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পোল্ট্রি ফার্ম করা হচ্ছে। তিন লক্ষ মুরগি পালন করা হবে। সেখানে অনেক বর্জ্য মিলবে। সেগুলি থেকেই আধুনিক পদ্ধতিতে জৈব সার তৈরি করা হবে। চাষের কাজে ব্যবহৃত করা হবে সেই সার।
হরষিত সিংহ