TRENDING:

Malda News: চালু হয়নি যাত্রী পারাপার, ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করতে না পারায় লোকসান হচ্ছে রফতানিতেও

Last Updated:

চালু হয়নি যাত্রী পারাপার। ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করতে না পারায় লোকসান হচ্ছে রপ্তানিতেও। চরম সমস্যায় পড়েছেন মালদহের মহদিপুর ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্থল বন্দরের রপ্তানিকারক থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মালদহ : চালু হয়নি যাত্রী পারাপার। ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করতে না পারায় লোকসান হচ্ছে রপ্তানিতেও। চরম সমস্যায় পড়েছেন মালদহের মহদিপুর ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্থল বন্দরের রপ্তানিকারক থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এমনি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দুই দেশের বহু সাধারণ মানুষকে। মহদিপুর স্থল বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের বহু মানুষ ভারতে আসতেন বিভিন্ন কাজে। আবার এদেশের বাসিন্দারা বাংলাদেশ যেতেন। করোনা পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য স্থলবন্দরে সাধারণ যাত্রী যাতায়াত চালু হলেও মহদিপুর বন্দরে এখনো চালু হয়নি।
advertisement

এতে একদিকে যেমন স্থানীয় রপ্তানি কারকেরা লোকসানের মুখে পড়ছেন। অপরদিকে দুই দেশের বহু মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। করোনা পরবর্তী সময়ে মহদীপুর স্থলবন্দর দিয়ে শুধুমাত্র পণ্যবাহি লরি যাতায়াতের ছড়পত্র দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত পণ্যবাহী লড়ে যাচ্ছে ওপারে। কিন্তু যাত্রী পারাপারের অনুমতি না থাকায় পণ্যবাহী যাতায়াতের পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছে এমনটাই দাবি রপ্তানিকারকদের। কারণ দুই দেশের রপ্তানি কারকেরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কখনো বাংলাদেশ কখনো আবার ভারতবর্ষে আসতেন। রপ্তানি কারকেরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়লেও এপার ওপার হতে হয় তাদের।

advertisement

জিনিসপত্রের দামদর করার জন্য মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকায় বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও অনুমতি না মেলায় যেতে পারছেন না রপ্তানি কারকেরা। এতে দুই দেশের রপ্তানিকারকেরা চরম লোকসানের মুখে পড়ছেন। করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়েছিল। এখনো চালু হয়নি মহদিপুর স্থলবন্দরের যাত্রী পারাপার। রাজ্য অন্যান্য বন্দর গুলি স্বাভাবিক হলেও মহদিপুর বন্দর এখনো কেন বন্ধ রয়েছে এমনকি দ্রুত চালুর দাবিতে একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা।

advertisement

এমনকি এ নিয়ে জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের সাথে বৈঠক হয়েছে। মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়নের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠিও করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার কোন সমাধান হয়নি।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক থাকার সময় মহদিপুর স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত প্রায় ৬০০ পন্যবাহী লরি বাংলাদেশ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যেত। পাথর ছাড়াও ফল সবজি খাদ্যশস্য মূলত মহদিপুর স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়।

advertisement

আরও পড়ুনঃ পাচারের আগেই উদ্ধার ১২ লক্ষ টাকার কচ্ছপের চর্বি, গ্রেফতার তিনজন

যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী লরি যাওয়ার সংখ্যাও অনেকটাই কমে গিয়েছে। দুই দেশের রপ্তানি কারকেরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে না পারায় আমদানি রপ্তানি কমে যাচ্ছে। বর্তমানে মধিপুর স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০০ টি লরি যাচ্ছে এমনটাই দাবি রপ্তানি কারকদের। দুই দেশের ব্যবসায়রা একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারলে পুনরায় আমদানি রপ্তানি বাড়বে দাবি ব্যবসায়ীদের। ঠিকমতো রপ্তানি না হওয়ায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ছেন মালদহের মহদিপুর রপ্তানি কারকেরা।

advertisement

আরও পড়ুনঃ ভিন রাজ্যে কাজে পাড়ি শ্রমিকদের, পাকা ধান কাটার শ্রমিক অমিল মালদহে!

‌প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে করণা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ১৫ই মার্চ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছিল মহদিপুর স্থলবন্দর। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সরকারিভাবে পণ্যবাহী লরি যাতায়াতের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে করনা পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক। রাজ্যের অন্যান্য স্থল বন্দরগুলিতে পণ্য ও যাত্রী পারাপার দুটিই হচ্ছে। একমাত্র মহদিপুর স্থল বন্দর দিয়েই যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা দ্রুত এই স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার চালুর দাবি জানাচ্ছেন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
এ যেন 'মেঘভাঙা' বৃষ্টি! হাসিমারায় পরিস্থিতি খারাপ, 'লাল চোখ' দেখাচ্ছে তোর্ষা
আরও দেখুন

Harashit Singha

বাংলা খবর/ খবর/মালদহ/
Malda News: চালু হয়নি যাত্রী পারাপার, ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করতে না পারায় লোকসান হচ্ছে রফতানিতেও
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল