Malda News: পাচারের আগেই উদ্ধার ১২ লক্ষ টাকার কচ্ছপের চর্বি, গ্রেফতার তিনজন
- Published by:Soumabrata Ghosh
- hyperlocal
Last Updated:
জ্যন্ত কচ্ছপ নয়, ছক বদলে পাচারকারীরা এবার কচ্ছপের শুকনো হাড় ও চর্বি বিদেশে পাঠাচ্ছে। মালদহ থেকে কচ্ছপের চর্বি সহ উত্তরপ্রদেশের তিন পাচারকারী উদ্ধার হতেই এমনি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্য। মালদহ জেলার কালিয়াচক থেকে কয়েক লক্ষ টাকার শুকনো কচ্ছপের চর্বি সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
#মালদহ : জ্যন্ত কচ্ছপ নয়, ছক বদলে পাচারকারীরা এবার কচ্ছপের শুকনো হাড় ও চর্বি বিদেশে পাঠাচ্ছে। মালদহ থেকে কচ্ছপের চর্বি সহ উত্তরপ্রদেশের তিন পাচারকারী উদ্ধার হতেই এমনি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্য। মালদহ জেলার কালিয়াচক থেকে কয়েক লক্ষ টাকার শুকনো কচ্ছপের চর্বি সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সূত্রে হানা দিয়ে কালিয়াচকে তল্লাশি চালিয়ে ধৃত তিন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বস্তা ভর্তি শুকনো কচ্ছপের চর্বি।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচকের এক পাচারকারীকে সেগুলি দিতে এসেছিল। তবে হস্তান্তরের আগেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতরা হল সুরেশ (৩০), পাপ্পু (৪০) ও নাওয়ালী (৬০)। তিন জনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গোরকপুর জেলায়। কালিয়াচকের মাটাবুল শেখ নামে এক পাচারকারীকে সেগুলি দিতে এসেছিল প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৭০ কেজি কচ্ছপের শুকনো চর্বি। আন্তর্জাতিক চোরা বাজারে যেগুলির আনুমানিক মূল্য ভারতীয় টাকায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভিন রাজ্যে কাজে পাড়ি শ্রমিকদের, পাকা ধান কাটার শ্রমিক অমিল মালদহে!
এতদিন জ্যন্ত কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। ট্রেনে করে কচ্ছপ নিয়ে আসার পথে পুলিশের জালে ধড়া পড়েছে পাচারকারীরা। বারবার পুলিশের জালে ধড়া পড়তে থাকায় পাচারের একে পরিবর্তন। এখন পাচারকারীরা কচ্ছপের শুকনো হাড় ও চর্বি পাচার করছে। মূলত এইগুলি বাংলাদেশে পাচার করা হয়। কচ্ছপের হাড় ও চর্বি দিয়ে বিশেষ যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরি হয়। বাংলাদেশ তৈরি এই ওষুধের বাজারে প্রচুর চাহিদা। মূলত তক্ষক ও কচ্ছপ থেকেই তৈরি হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ চালু হয়ে গেল রবিশস্যের কৃষক বিমা, কীভাবে আবেদন করবেন? জেনে নিন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই চোরা পথে ভারত থেকে কচ্ছপ ও তক্ষক বাংলাদেশে পাঠানো হয়। বুধবার রাতে গ্রেফতার তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৯৭২ আইনে মামলা রিজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিন জনকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করে ঘটনার তদন্ত নেমেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। এই পাচার চক্রের সাথে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
advertisement
Harashit Singha
view commentsLocation :
First Published :
November 25, 2022 1:46 PM IST

