২০১৪ সালে রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। আবেদন করেন মিরাজ শেখ। টেট পরীক্ষায় পাশ করে।তারপর ২০২০ সালে ইন্টারভিউ এর জন্য বিজ্ঞপ্তি বেরোয়। ডাক পান মিরাজ। ২০২১ সালের ১১ই ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ এলাকার ৬৭ নম্বর পুথীয়া প্রাথমিক স্কুলে চাকরিতে যোগদান করেন। কিন্তু ৩১ শে জানুয়ারি বেতন পাননি তিনি। এরপরে মুর্শিদাবাদ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে যোগাযোগ করা শুরু করেন মিরাজ। দেখা করেন মানিক ভট্টাচার্যের সাথে। কিন্তু ৩১শে মার্চ লিখিত ভাবে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে তার আর চাকরি নেই।
advertisement
আরও পড়ুন: কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় অপরাধ! ভয়াবহ ঘটনা ঘটল উলুবেড়িয়ার গৃহবধূর সঙ্গে!
অনার্স নম্বর সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। চাকুরির প্রার্থী মিরাজ শেখ তার নথিতে অনার্সের নম্বর যুক্ত করেনি। শুধুমাত্র বিএড এর নম্বর যোগদান করেছিলেন। এই সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এরপরই মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন মিরাজ। মুর্শিদাবাদ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এবং রাজ্য শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় মিরাজকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই রায় খুশি মিরাজ। চাকুরি ফিরে পেয়ে খুশি মিরাজ। প্রাথমিক শিক্ষক মিরাজ শেখ বলেন, পুনরায় চাকরি ফেরত পেয়ে আমি খুব খুশি। অনার্সের নম্বর নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয় আমার চাকরি চলে গিয়েছিল। হাইকোর্টে মামলা করে আমি পুনরায় চাকরি ফিরে পেলাম। আশা করি এই ধরনের আরো যাদের সমস্যা রয়েছে সকলেই চাকরি ফিরে পাবেন।
হরষিত সিংহ