মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হরদমনগরের বাসিন্দা রিকিতা চৌধুরী। এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে রিকিতা।দৌলতপুর হাই স্কুলের ছাত্রী।বাবা অনাদি চৌধুরী কৃষিকাজ করেন। দিন আনে দিন খাওয়া পরিবার। কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকার জন্য আবেদন করেছিল রিকিতা। স্থানীয় একটি ব্যাংকের শাখাতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার। কিন্তু কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা তার অ্যাকাউন্টে না ঢুকে সেই টাকা তালসুর গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী দেবেন মহালদারের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়।ঘটনা জানতে পারার পর দেবেন মহালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিকিতার পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন: টানটান যৌবন! দাঁত, হাড়, সর্দি-কাশি-জ্বরে একটা টমেটোই করবে কামাল! জানুন কীভাবে খাবেন!
আরও পড়ুন: সকালে ঘুম থেকে উঠলেই গোটা শরীরে ব্যথা! ক্লান্তি! কেন হয় জানেন? সাবধান
প্রথমে তিনি টাকা ফেরত দিয়ে দিতে চাইলেও পরবর্তীতে টাকা দিতে চাইলেন না বলে অভিযোগ উঠে। তারপরে ব্লক প্রশাসন এবং পুলিশের দারস্থ হয় রিকিতা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই খবর সম্প্রচারিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। আর খবর সম্প্রচারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক কার্যালয়ে ডেকে রিকিতাকে তার প্রাপ্য টাকা দেওয়া হল। ওই মৎস্য ব্যবসায়ী বিডিও বিজয় গিরির তত্ত্বাবধানে টাকা ফেরত দেয় রিকিতাকে। কন্যাশ্রীর টাকা পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে রিকিতা এবং তার পরিবার। তারা ধন্যবাদ জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম এবং বিডিও কে।ছাত্রী রিকিতা চৌধুরী বলেন, সংবাদমাধ্যম এবং প্রশাসনকে ধন্যবাদ। এই টাকাটা আমার অনেক কাজে দেবে। নার্সিং ট্রেনিং এবং কলেজে ভর্তি হব। পরিবারে আর্থিক অনটন রয়েছে। আমার খুব সুবিধা হবে আগামীতে।
হরষিত সিংহ