কারণ সুস্থ স্বাভাবিক হলেও তাদের এখনো মেডিকেলের বেডে থাকতে হচ্ছে। এই থেকে রোগ ছাড়ানোর সম্ভবনা রয়েছে। যদিও শিশুদেরকে অন্যত্র নিয়ে যেতে জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে চিঠি করেছেন মেডিকেলের কর্তারা।অপর দিকে এক শিশুর মা মেডিকেলে মারা যায়।তারপর থেকে পরিবারের লোকেরা শিশুকে নিয়ে যায়নি। এমনকি পরিবারের লোকেদের খোঁজ মিলছে না বর্তমানে। এই বিষয়ে মেডিকেলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শিশুর পরিবারের খোঁজে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে চালু হল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা পরিচালিত ক্যান্টিন
মালদহ মেডিকেলের এসএনসিইউ বিভাগে নাম পরিচয়হীন ছয় সদ্যোজাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, কেউ তিনমাস, কেউবা আবার আরও বেশি সময় ধরে এসএনসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নাম পরিচয়হীন সদ্যোজাতদের দেখভাল করতে হিমশীম খেতে হচ্ছে এসএনসিইভ বিভাগের নার্স, কর্মীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, “কাজের ফাঁকে সদ্যোজাতদের খাওয়াতে হচ্ছে। এ ছাড়া স্নান করানো থেকে শুরু করে সদ্যোজাতদের দেখভাল এখন আমাদের সবই করতে হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ এখনও দগদগে বোমাতঙ্ক! তারই মধ্যে আবার পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে আতঙ্ক
মেডিকেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ছ’জনের মধ্যে দুই সদ্যোজাত গুরুতর অসুস্থ রয়েছে। তাদের কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।২৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের এক যুবতী প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মেডিকেলে ভর্তি হন, দাবি কর্তৃপক্ষের। তাঁদের দাবি, পরের দিন, ২৪ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ওই দিনই প্রসুতির মৃত্যু হয়। সদ্যোজাতকে এসএনসিইউ বিভাগে ভর্তি রাখা হয়। অভিযোগ, পরিবার সদ্যোজাতকে না নিয়েই বাড়ি চলে যায়। ঘটনার পরে তিন মাস হয়ে গেলেও এখনও পরিবারের কেউ যোগাযোগ করেন নি বলে দাবি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের। এই আরো নাম পরিচয়হীন পাঁচ শিশুর বর্তমান ঠিকানা মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
Harashit Singha