তাঁরা কয়েক প্রজন্ম ধরেই রেশম চাষ করে আসছেন।১৯৯১ সাল থেকে রেশম সুতো তৈরির কাজ করে আসছেন বাড়িতে৷ প্রথমে প্রথাগত মেশিনেই রেশম কাটাই করে সুতো তৈরি হত। পরবর্তীতে জেলা রেশম দফতরের সহযোগিতায় ভালো মানের সুতো তৈরি করতে সক্ষম হন। সেই সুতো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন৷ বর্তমানে বাজারে চিনা রেশম সুতোর চাহিদা বেশি। সেই সুতোর সাথে দেশিয় রেশম সুতো পাল্লা দিতে পারছে না। তবে দেশি সুতোর চাহিদা এখনো রয়েছে বাজারে।মালদহের রেশম চাষের সুনাম রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পতিত জমিতে ডালশস্য চাষের পরামর্শ কৃষি দফতরের
এমনকি রাজ্যের মধ্যে মালদাতেই সবচেয়ে বেশি রেশম চাষ ও সুতো তৈরি হয়৷ বিশেষ করে মালদহের কালিয়াচক তিনটি ব্লক, ইংরেজবাজার পুরাতন মালদহ ও মানিকচক ব্লকে সবচেয়ে বেশি রেশম চাষ হবে। তবে বর্তমানে চাষের জমির পরিমাণের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। দু’দশক আগেও মালদহে রেশম সুতো উৎপাদনের উন্নত পরিকাঠামো ছিল না৷ রেশম সুতো উৎপাদনের মান বৃদ্ধিতে জেলা রেশম দফতরের তৎকালীন আধিকারিকেরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন৷
আরও পড়ুনঃ ২০ বছরেও তৈরি হয়নি গ্রামের রাস্তা! ক্ষোভ এলাকাবাসীদের
সুতো উৎপাদকদের পাশে দাঁড়ায় রাজ্য সরকারও৷ সরকারের তরফে রেশম কাটাই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনকে উন্নত মেশিন এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়৷ তারই ফল মিলছে এখন৷ এই এলাকার উৎপাদিত রেশম সুতোর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে৷ আনসারুল সাহেবের পুরস্কার প্রাপ্তি জেলার রেশমচাষি, সুতো উৎপাদক সহ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাইকেই উৎসাহিত করবে বলে আশা করছে প্রশাসন৷
Harashit Singha