Malda: পতিত জমিতে ডালশস্য চাষের পরামর্শ কৃষি দফতরের
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
বৃষ্টিপাতের ঘাটতি। আর তার যে এই মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আমন ধান চাষ করতে পারেননি বহু কৃষক।
#মালদহ : বৃষ্টিপাতের ঘাটতি। আর তার যে এই মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আমন ধান চাষ করতে পারেননি বহু কৃষক। হাজারের পর হাজার বিঘা একর জমি পতিত পড়ে রয়েছে। লোকসানের মুখে পড়তে চলেছেন জেলার কয়েক হাজার কৃষক পরিবার। আমন ধান চাষ করতে না পারলেও পতিত জমিগুলোতে বিকল্প চাষ করার পরামর্শ মালদহ জেলা কৃষি দফতরের। ইতিমধ্যে মালদহ জেলা কৃষি দফতরের তরফ থেকে জমির পরিসংখ্যানের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত জমিতে আমন ধান চাষ হয়নি সেগুলিতে প্রাক রবি শস্য ও কলাই চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি দফতরের কর্তারা। ইতিমধ্যে জেলার অধিকাংশ প্রতি জমিতে কলায় চাষ শুরু করেছেন কৃষকেরা।
advertisement
কলাই চাষের বীজ ও অন্যান্য সামগ্রী কৃষি দপ্তরের তরফ থেকে কৃষকদের প্রদান করার উদ্যোগ ও গ্রহণ করা হয়েছে। বিকল্প চাষ হিসাবে কলাই ও অন্যান্য রবিশস্য চাষ করলে কৃষকরা অনেকটাই উপকৃত হবেন এমনটাই দাবি জেলা কৃষি দফতরের কর্তাদের। মালদহ জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মরশুমে জেলায় প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ সম্ভব হয়নি। বৃষ্টির অভাবে জমিতে চাষ দেওয়ায় সম্ভব হয়নি। অনেক জায়গায় ধানের বীজতলা পড়ে থেকে গেছে। কিছুটা হলেও লোকসানের মুখে পড়েছেন অধিকাংশ কৃষক।
advertisement
কৃষকদের লোকসান কিছুটা বাঁচাতে কৃষি দফতরের তরফ থেকে পতিত জমিতে কলাই চাষ ও প্রাক রবি শস্য চাষ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে রবি মরশুমের তুড়ি সরিষা চাষ করার পরামর্শ দেন। মালদহ জেলা কৃষি দফতরের তরফ থেকে, জেলায় প্রদর্শনী ক্ষেত্র তৈরি করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তুড়ি সরিষার। ইতিমধ্যে রাজ্য কৃষি দফতরের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। কলাই ও তুরি সরিষা চাষের জমির পরিমাণ উল্লেখ করে।
advertisement
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের কলায় ও রবিশস্য চাষের বীজ বিনামূল্যে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মালদহ জেলায় এখনও বৃষ্টিপাতের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় জমিতে ধান চাষ হলেও জলের অভাবে মারা যাচ্ছে ধান। সেই সমস্ত জমিতেও বৃষ্টিপাত না হলে ধান চাষের সম্ভাবনা খুবই কম। ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন কৃষকদের একাংশ।
advertisement
ধান চাষ না হলেও কৃষি দফতরের তরফ থেকে কৃষকদের রবিশস্য চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিকল্প চাষের ফলে জমি যেমন পড়ে থাকবে না তেমনি কৃষকরাও কিছুটা হলেও আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। অপরদিকে চাষের জন্য কৃষি দফতর সাহায্য করলে অনেকটাই সুবিধা হয় কৃষকদের। তবে জেলায় ধান চাষ করতে না পারায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন বহু সাধারণ কৃষক।
advertisement
Harashit Singha
view commentsLocation :
First Published :
September 03, 2022 7:42 PM IST