পুরাতন মালদহের কার্তিকটোলা এলাকার চড়ক পুজো কমিটির কয়েকজন সদস্য জ্যোৎস্না মণ্ডলের বাড়িতে চাঁদা চাইতে যায়। সেই সময় তাঁর স্বামী বিকাশ মণ্ডল বাড়ি ছিলেন না, প্রতিদিনের মত অফিসে গিয়েছিলেন। ওই বধূর পরিবারের অভিযোগ, চড়ক পুজো কমিটির সদস্যরা চাল-ডালের পাশাপাশি নগদ ১৫০ টাকা চাঁদা চায়। বাড়িতে স্বামী না থাকায় তিনি ওই টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান জ্যোৎস্না মণ্ডল। অভিযোগ, এর পরই পুজো কমিটির সদস্য ফুলকুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন যুবক ওই বধুর বাড়িতে ঢুকে তাকে মারধর করে।
advertisement
আরও পড়ুন: বেলদার ত্রাস হয়ে উঠেছে হনুমান, প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছে
এমনকি একবার নয়, ফের দ্বিতীয়বার ফিরে এসে বাড়িতে ঢুকে ওই বধূকে রীতিমত শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর পেয়ে অফিস থেকে ছুটে আসেন বিকাশ মণ্ডল। দেখেন স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঘরে পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে মালদহ মেডিকেল কলেজে ছোটেন। সেখানে জ্যোৎস্নাদেবীকে ভর্তি করে নেন চিকিৎসকরা।
কদিন আগেই রাজনৈতিক কারণে দল পরিবর্তন করায় বালুরঘাটের তিনজন আদিবাসী মহিলাকে দন্ডি কাটানো হয়েছিল। সেই নিয়ে রীতিমত তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে চাঁদা না দেওয়ায় বধূকে মারধরের অভিযোগ উঠল মালদহে। একের পর এক নারী নিগ্রহের ঘটনায় চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের।
হরষিত সিংহ