হানি ট্রাপ ঠিক কি? জেলা সাইবার ক্রাইম থানার কর্তা জানান, এটি মূলত ফেসবুকে প্রতারণা চক্র। এক্ষেত্রে মহিলাদের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হচ্ছে। এক্সেপ্ট করলেই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাটের মাধ্যমে কথোপকথন চালাচ্ছে প্রতারকেরা। তারপরেই প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ভিডিও কল করে অশ্লীল ছবি দেখানো হচ্ছে। এর পরেই ভিডিও কল রেকর্ড করে হয়রানি করছে। মোটা অংকের টাকা চাওয়া হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নিয়মিত মিলছে না ভাতা! বিক্ষোভ মালদহের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের
না দিলে সেই ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আসছে। এর শিকার হচ্ছেন ফেসবুক ব্যবহারকারী যুবক সম্প্রদায়। এইভাবে বহু ক্ষেত্রেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে অনেকে। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অচেনা অপরিচিতদের তরফ থেকে সোশ্যাল মাধ্যমে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলে তা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এমনটা করলে রেহাই পাবেন এমন প্রতারণার হাত থেকে। মালদহ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন প্রতারণার শিকার হওয়ার পরেও অনেকে অভিযোগ দায়ের করতে আসছেন না।
তাই জেলা পুলিশের কর্তাদের পরামর্শ, প্রকাশ্যে যদি কেউ আসতে না চাই, অনলাইন মাধ্যমেও সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে রাজ্য পুলিশের। সেখানে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে। জেলা সাইবার ক্রাইম থানার ছাড়াও প্রতিটি থানায় অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে এই সংক্রান্ত প্রতারণার।
Harashit Singha