শুধু গ্রামে নয়, স্থানীয় বাসন্তী মোড়ে মালদহ- নালাগোলা রাজ্য সড়কের উপর নিয়মিত জল জমে থাকছে এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায়। প্রায় ৬০ মিটার এলাকা জুড়ে নিয়মিত জমে থাকছে জল। বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই বাইক, টোটো নিয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়েছেন অনেকেই। হেঁটে চলাচল করতে পারছেনা কেউ। কারণ দীর্ঘদিন নিয়মিত জল জমে থাকায় সেখান সাপের উপদ্রব বেড়েছে। পাশাপাশি মালদহ নালাগোলা রাজ্য সড়ক থেকে গ্রামে ঢোকার রাস্তা পুরোটাই জলের তলায়।
advertisement
হাঁটু জল গোটা রাস্তায় জুড়ে। চলাচলের একেবারেই অযোগ্য। নিয়মিত জল জমে থাকায় জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, সাপ সহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গের উপদ্রব যেমন বাড়ছে, তেমনি মশা মাছির উপদ্রপের ফলে বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর আশঙ্কায় এলাকার বাসিন্দারা। ডেঙ্গু বা বিভিন্ন জলবাহিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা ছড়াচ্ছে এলাকা জুড়ে। যদিও বারবার প্রশাসনকে জানানোর পরও সমস্যার সমাধান আজও না হওয়ায় চরম বিপত্তির মুখে গোটা গ্রামের এক তৃতীয়াংশ বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ জরুরী পরিষেবায় নবজাগরণ, এবার মালদহ মেডিকেলে চালু এমার্জেন্সি মেডিসিন
আইহো গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতিয়ানগাছি গ্রামে জল নিকাশের জন্য দুটি ড্রেন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম নর্দমা তৈরির সময় বিভিন্ন কারণে একাধিকবার গ্রামের বাসিন্দারাই কাজে বাধা দিয়েছেন। কখনো নিম্নমানের কাজের অভিযোগ কখনো আবার স্থানীয় গ্রামবাসীদের জায়গার ওপর ড্রেন তৈরির চেষ্টার অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন কিছু এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ পরিষদীয় বিভাগ সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দিতে রাজ্য সরকারের প্রচার
বারবার কাজে বাধা দেওয়াই বন্ধ হয়ে পড়েছে ড্রেন নির্মাণের কাজ। দিনের পর দিন বর্ষার মরশুমে জল জমছে গোটা এলাকা জুড়ে। প্রথম ড্রেনটি তৈরি না হওয়ায় দ্বিতীয় ড্রেনের কাজ শুরু করতে পারছে না প্রশাসন। যদিও আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, সমস্ত সমস্যার সমাধান মিটিয়ে কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছি আমরা। তবে বর্তমানে বর্ষায় বৃষ্টি নেমে যাওয়ায় কাজ করা যাচ্ছে না। বর্ষার মরসুম পেরোলেই শীঘ্রই ওই গ্রামের ড্রেন তৈরির কাজ শেষ করা হবে।
Harashit Singha





