TRENDING:

Malda News: ২৮ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি, বর্ষায় চাষের জমি ফেটে চৌচির

Last Updated:

ক্যালেন্ডারে এখন বর্ষাকাল। কিন্তু বৃষ্টির দেখা সেইভাবে নেই বললেই চলে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন মালদহ জেলার আমন ধান চাষীরা। হয়নি ধান রোপণ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালদহ: ক্যালেন্ডারে বর্ষাকাল চলছে। তবে আকাশে বৃষ্টির কোন দেখা নেই। বর্তমানে স্বাভাবিকের থেকে মালদহে বৃষ্টিপাত অনেক কম হয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন জেলার আমন ধান চাষীরা। বৃষ্টির ঘাটতির জেরে ধান রোপন করতে পারছেন না কৃষকেরা। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে মালদহে এখন পর্যন্ত ২৮ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। জেলার হবিবপুর বামনগোলা ব্লকের কৃষকেরা সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন।
advertisement

বৃষ্টির ঘাটতির জেরে চাষের জমি ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছে বর্ষার মরশুমে। যে সব এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে সেই সব জায়গায় কিছু ধান লাগানো গেলেও জলের জন্য এখন ধানের চারা শুকিয়ে গেছে। যে সব জায়গায় জল সেচের সুব্যবস্থা নেই সেই জায়গায় ধান রোপন সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন ঃ সময়ে চিকিৎসা হলে সম্পূর্ণ সেরে যায় হেপাটাইটিস

advertisement

মরশুমের প্রথমদিকে বৃষ্টিপাত হয়েছে ভালো। তাই কিছু জমিতে ধান রোপন সম্ভব হয়েছিল। তবে বর্তমানে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়ায় জমি শুকিয়ে গিয়েছে। মাটি ফেটে গিয়েছে। এমন অবস্থায় সমস্যায় পড়েছেন দুই ব্লকের কৃষকেরা।

মালদহ জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মরশুমে মালদহ জেলায় এখন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪০০.৭ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাত দরকার ছিল ৫৫৬.৪ মিলিমিটার। স্বাভাবিকের থেকে ২৮ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার প্রভাব আমন চাষে ব্যাপক ভাবে পড়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন ঃ দুঃস্থ ক্রীড়াবিদকে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সাহায্য জেলাশাসকের

গত বছরও এই একই রকম ভ্রিস্তির ঘাটতি ছিল। গত বছর গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বৃষ্টি ঘাটতি ছিল। চলতি মরশুমে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় ধান রোপন হয়েছে ২১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে।

advertisement

স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম জমিতে ধান রোপন হয়েছে। যে সমস্ত এলাকায় জল সেচের ব্যবস্থা নেই সেগুলিতে কৃষকেরা সমস্যায় পড়েছে বেশি। কৃষি দফতরের কর্তাদের দাবি, আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত মালদহে ধান রোপন করা হয়। আগামীতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখনও তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

আরও পড়ুন ঃ ঘনঘন লোডশেডিংয়ে জেরবার শিল্পাঞ্চল! প্রশাসনের কাছে দরবার ব্যবসায়ীদের

advertisement

তবে ধান চাষ সম্ভব না হলে বিকল্প হিসাবে অনান্য ফসল চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মালদহ জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক দেবনাথ মজুমদার বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় প্রায় ২৮ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। কিছুটা হলেও সমস্যা হচ্ছে আমন ধান চাষে। বিশেষ করে বামনগোলা হবিবপুর ব্লকে বেশি সমস্যা হয়েছে।

তবে মালদহে আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ধান রোপণ করা যায়। আশা করি বৃষ্টিপাত হবে, কৃষকেরা ধান রোপণ করতে পারবেন। ধান রোপন সম্ভব না হলে আমরা বিকল্প চাষ ভেবে রেখেছি। কৃষকেরা সেগুলি চাষ করবেন। তবে বীজতলায় চারা গাছ নষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে ক্ষতি হচ্ছে।

আরও পড়ুন ঃ সিসিটিভির ফুটেজই ধরিয়ে দিল চোর! পরের ঘটনা জানলে তাক লেগে যাবে

তাই কৃষকেরা তাকিয়ে রয়েছে আকাশে দিকে। কবে নামবে বর্ষা। এই ধানের উপর নির্ভর করে কৃষকেরা সারা বছর সংসার চলে। আর এই বছরই বৃষ্টি জলের দেখা নেই। তাই চিন্তায় পরেছে হবিবপুর বামনগোলা ব্লকের কৃষকেরা। বৃষ্টির জন্য রোপন করা ধান পর্যন্ত মরতে শুরু করেছে। চরম সমস্যা কৃষকেরা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

হরষিত সিংহ

বাংলা খবর/ খবর/মালদহ/
Malda News: ২৮ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি, বর্ষায় চাষের জমি ফেটে চৌচির
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল