২০১৪ সালে একজন শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয় স্কুলে। শুরু হয় প্রাথমিক স্কুলের পঠন-পাঠন। প্রস্তাবিত স্কুল তৈরির জায়গাটি গ্রামের এক বাসিন্দার দখলে রয়েছে। প্রথমদিকে রাজি থাকলেও পরে তিনি জমিটি ছাড়তে রাজি হননি। আইনি পথে হাটে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে বিষয়টি। স্কুল তৈরির টাকা বরাদ্দ করার পর কাজ শুরু না হওয়ায় টাকাও ঘুরে চলে গিয়েছে। বর্তমান স্কুলের তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নিজের হাতে আইন! মাদক কারবারী অভিযোগে যুবককে গণধোলাই স্থানীয় বাসিন্দাদের!
স্কুল ভবন নির্মাণের দাবিতে বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে সমস্যা সমস্যাতেই থেকে গিয়েছে। গাজোল আমতলা প্রাথমিক স্কুলে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৬২ জন। একটি আম গাছের নিচে পলিথিনের উপর বসে ক্লাস চলে। স্কুল ভবন না থাকায় খুদে পড়ুয়াদের ওপর বাড়তি নজরদারি চালাতে হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের। খবর নেই তাই প্রভাতের সমস্ত নথিপত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষা সামগ্রী সমস্ত কিছু ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখতে হয়।
আরও পড়ুনঃ চালের উপর জিএসটি বসানোর প্রতিবাদে আন্দোলনে বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশন
এমনকি পড়ুয়াদের সমস্ত নথিপত্রের কাজ তিনি বাড়িতেই করেন বাধ্য হয়ে। গ্রামের এক কৃষকের সহযোগিতায় চলছে এই স্কুলটি। গ্রামের ক্ষুদে পড়ুয়ারা পড়াশোনা শিখতে পারবে বলেই নিজের বাড়িতে নয় বছর ধরে স্কুল চালাচ্ছেন। তিনি বলেন যতদিন স্কুল এখানে চলবে তার কোন অসুবিধা নেই। কারণ তার নিজের গ্রামের খুদেরা পড়াশোনা শিখে মানুষ হবে এখান থেকেই।
Harashit Singha