এমন পরিস্থিতি থেকে বাস মালিকরা কি করে রেহাই পেতে পারেন। বেসরকারি যাত্রী পরিবহন বাঁচাতে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের ডাকে, জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। রবিবার মালদহ শহরে একটি বেসরকারি ভবনে আয়োজিত এই যৌথ জেলা সম্মেলনে গৌড় বঙ্গের চারটি জেলার বাস মালিক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। চারটি জেলার বাস মালিকেরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধানের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন- জাতীয় বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায় সাফল্য মালদহের যুবকের! এবার সুযোগ আন্তর্জাতিক স্তরে
মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাস ওনার্স মালিক সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট এর সাধারণ সম্পাদক তপন ব্যানার্জি, মালদহ বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জিয়াউল হক সহ রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, মুর্শিদাবাদের মালিকদের সংগঠনের সম্পাদকেরা। চারটি জেলার প্রায় ৩৫০জন বাস মালিক উপস্থিত ছিলেন এই সম্মেলনে।
আরও পড়ুন- প্রায় তিন শতাধিক প্রজাতির গাছ রয়েছে সেন্টু খানের ছাদ বাগানে, ছোটবেলার শখ আজ মহীরুহ
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে দিনে দিনে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে বেসরকারি পরিবহন শিল্প। করোনার সময় থেকে যাত্রীদের পরিষেবা দিয়ে আসছে, দিনে দিনে তেলের দাম বাড়ছে, কিন্তু বিজ্ঞানভিত্তিক ভাড়া বাড়ছে না। বাস মালিক সংগঠনগুলোর দাবি, পরিবহন শিল্পকে বাঁচাতে গেলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে যৌথ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত। বিজ্ঞানভিত্তিক ভাড়া বাড়াতে হবে পাশাপাশি ১৫ বছরের উপরে যে সমস্ত গাড়িগুলির বয়স হয়ে গেছে, সে সমস্ত গাড়িকে পুরোপুরি বাতিল না করে, সেই সমস্ত গাড়ির ইঞ্জিনকে বাতিল করতে হবে। তা না হলে অনেক গাড়ি রাস্তায় চলবে না। যার ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হবে বাস মালিকদের।
পাশাপাশি সিএফ মূল্য কমাতে হবে। চার জেলার বাস মালিক সংগঠনগুলিকে নিয়ে আয়োজিত যৌথ জেলা সম্মেলনে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন প্রতিটি জেলার বাস মালিকেরা। এদিনের আলোচনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সরকার যদি এই দাবি-দাওয়াগুলো না পূরণ করে, তাহলে আগামী দিনে আইনি পথে হাঁটবেন তারা। পাশাপাশি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে বাস মালিক সংগঠনগুলি।
Harashit Singha