আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ির চালে সাপের আনাগোনা! ভয়ে আসছে না কচিকাঁচারা
প্রবীণ তাঁতশিল্পী নিতাই দাস বলেন, এক সময় আমরা নিজেরাই শাড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতাম। এখন আর তাঁতের তৈরি শাড়ির বিক্রি নেই। বাজার ছেয়েছে ছাপা শাড়িতে। বর্তমান প্রজন্ম এই শিল্পের সঙ্গে আর যুক্ত হচ্ছে না। একসময় এই গ্রামের প্রায় দেড় হাজার পরিবার তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল। সময়ের সঙ্গে কমেছে তাঁতে বোনা শাড়ির কদর। ছাপা শাড়ি বাজারে আসতেই ধীরে ধীরে তাঁতের তৈরি শাড়ির কদর কমতে শুরু করে। আর তাতেই কাজ হারান পুরাতন মালদহের সাহাপুরের তাঁতিরা।
advertisement
শাড়ির কদর কমতে থাকায় তাঁতিরা শুরু করেছিলেন গামছা বোনার কাজ। কিন্তু তাতেও ঠেকানো যায়নি এই শিল্পকে। তখন থেকে ধীরে ধীরে কাজ ছাড়তে শুরু করেন তাঁতিরা। এখন গুটি কয়েক তাঁতি তাদের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পেশাকে ধরে রেখেছেন। কারণ তাঁদের বয়স হয়েছে, তাই অন্য কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন না। তবে নিজেদের কাজ করছেন না, এখন তাঁরা শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। খাদির বিভিন্ন কাজের বরাত পান। সেই কাজ তুলে দিলে দৈনিক পারিশ্রমিক পাওয়া যায়। তাঁত শিল্পী অচিন্ত্য দাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। এখন আর তাঁতের তৈরি শাড়ি, গামছার কদর নেই। খাদির কাজ করছি শ্রমিক হিসেবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে হয়তো সাহাপুর গ্রামে আর তাঁত চলবে না। হারিয়ে যাবে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প।
হরষিত সিংহ





