ধ্বংস হলেও আজও প্রাচীন বাংলার রাজধানীর বহু অংশ জ্বলজ্বল করছে গৌড়ের বুকে। ঠিক তেমনি প্রাচীন গৌড় নগরীর অন্যতম স্থাপত্য হচ্ছে চিকা মসজিদ যা স্থানীয়দের কাছে রূপ সনাতনের কারাগার নামে পরিচিত। তবে ইতিহাসবিদদের মতে, এটি কোন মসজিদ বা কারাগার নয়। আসলে এটি একটি সমাধিস্থল। এই স্থাপত্যে না তো রয়েছে কোনরকম মসজিদের মত পরিকাঠামো, না রয়েছে কারাগার বা বন্দিশালার মত পরিকাঠামো।
advertisement
আরও পড়ুন: স্ত্রীর জন্য বাঘের সঙ্গে লড়াই, চোখে চোখ রেখে জান লড়িয়ে দিলেন স্বামী! শেষে রণে ভঙ্গ, লেজ গুটিয়ে ছুট
মালদহ জেলার ইতিহাস গবেষক এম আতাউল্লাহ জানান, “স্থানীয়দের কাছে আজও বহু কথিত ভুল ধারণা রয়েছে। আসল ইতিহাস জানতে পড়াশোনা করা প্রয়োজন। চিকা মসজিদ নামটি স্থানীয়দেরই দেওয়া। এই স্থাপত্যের আসল নাম সম্পর্কে আজও কোন তথ্য বা ফলক পাওয়া যায়নি। তবে এটি কোন কারাগার বা মসজিদ নয়। এটির সঙ্গে অনেকটি মিল রয়েছে নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহের সময়কালে তৈরি পাণ্ডুয়ার একলাখি সমাধিসৌধের। যা ১৪৪২ থেকে ১৪৫৯ সময়কালে তৈরি করা হয় বলে গবেষণায় জানা যাচ্ছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই নির্মাণটি ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দে সুলতান ইউসুফ শাহ দ্বারা নির্মিত হয়। একক গম্বুজ বিশিষ্ট এই নির্মাণটি স্থানীয় লোকজনদের কাছে চিকা মসজিদ বা রূপ সনাতনের কারাগার নামে পরিচিত। যদিও এই নির্মাণটির নাম সম্পর্কে আসল রহস্য আজও অজানা সকলের কাছে।





