অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃত স্কুল ছাত্রীর পরিবার থেকে স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রীর নাম স্নেহা সাহা (১৮)। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী স্নেহার বান্ধবী ছিল বিহারের আজিমনগরের বাসিন্দা জ্যোতি শা। তুলসিহাটায় দাদুর বাড়ি ছিল স্নেহার বান্ধবী জ্যোতি শার। তুলসীহাটা দাদুর বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করত সে। একই সঙ্গে পড়াশোনা করতো দুই বান্ধবী।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মালদহবাসীর জন্য সুখবর! কলকাতায় এবার কম খরচে থাকতে পারবেন মালদহ ভবনে
বান্ধবী জ্যোতি শা কিছু দিন আগে বিয়ের জন্য তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় জ্যোতির বাবা মনোজ শা ক্রমাগত দায়ী করতে থাকে মেয়ের বান্ধবী স্নেহাকে বলে অভিযোগ। ফোন করে মেয়ের বান্ধবীকে হুমকি পর্যন্ত দিতে থাকে। মারধর থেকে বাড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিতে থাকে বলে অভিযোগ। মৃত স্কুল ছাত্রীর পরিবারের লোকেদের দাবি, সেই মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছে স্নেহা।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গি মশার নিধনে এবার মানুষকে সচেতন করতে অভিযানে শহরের মহিলারা
বৃহস্পতিবার সকালে শোয়ার ঘরে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকেরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিন ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে। খবর দেওয়া হয়, হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। অভিযুক্ত জ্যোতি শা'র বাবা মনোজ শা'র তীব্র শাস্তির দাবী জানিয়েছে স্নেহার পরিবার।
Harashit Singha