অসমের কামরূপ (মহানগর) জেলার চন্দ্রপুর গ্ৰামের বাসিন্দা দীপালি তালুকদার ২০১৬ সালে পেশায় সিমেন্ট কারখানার শ্রমিক ধঞ্জিত তালুকদারকে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের ছয় বছরের মধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান ধঞ্জিত তালুকদার। পাঁচ বছরের কন্যা নিকিতাকে নিয়ে একাকীত্ব বোধ করতে থাকেন দীপালি। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাড়ির লোকের অনুমতি নিয়েই পাত্রের খোঁজ করতে থাকেন দীপালি।
advertisement
নিজের স্মার্টফোনে জনপ্রিয় বিবাহ অ্যাপসে বেশ কয়েকমাস ধরে বিভিন্ন পাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। অবশেষে হলদিয়ার সুতাহাটা ব্লকের অনন্তপুর গ্ৰামের বাসিন্দা পেশায় ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার বিভাস ঘাঁটীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এরপর দুই পরিবারের সদস্যরা কথাবার্তা বলে বিয়ের সমন্ধ ঠিক হয়।
আরও পড়ুন - Paschim Medinipur News: ‘‘আল্লা মেঘ দে পানি দে’’ কাতর আর্তিতে শান্তি, প্রবল বৃষ্টি, চাষীরা স্বস্তিতে
রবিবার সন্ধ্যায় হলদিয়ার এইচ পি এল লিঙ্ক রোড সংলগ্ন একটি মন্দিরে বিভাস ও দীপালির চার হাত এক দেন দুই পরিবার। দীপালি বলেন "মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাই, এবার মেয়েকে ভালো করে মানুষ করব। বিভাস বলেন "কাকু নকুল চন্দ্র ঘাঁটীর অনুপ্রেরণা পেয়েই সব পুরানো ইতিহাস ভুলে নতুন করে সংসার করতে চাই, আজ থেকে দীপালি ও নিকিতার সমস্ত দায়দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলাম।"
আরও পড়ুন - Purba Bardhaman News: বিদ্যুত নেই কেন? প্রশ্ন তুলে বেধড়ক মারধর কর্মীদের, ভাঙচুর কিয়ক্সে
ছোট বেলায় নিকিতা বাবাকে হারিয়ে ফের নতুন করে কাউকে বাবা বলে ডাকতে পারবে জেনে খুব খুশি। গ্ৰামবাসীদের উপস্থিতিতে নব দম্পতিকে বরণ করে নেন শ্বশুর, শাশুড়ি বিল্পপদ ঘাঁটী ও সবিতা ঘাঁটী। করোনায় স্বামীকে হারিয়ে নতুন জীবনের পথে বিভাসকে সঙ্গী করে পথিক হলেন দীপালি। বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ মাসে বিধবা বিবাহের দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বিদ্যাসাগরের জেলা।
Saikat Shee