লোকাল ট্রেনের হকারদের অবস্থা তো অবর্ণনীয়! হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যেই সব স্বাভাবিক হবে৷ তবে ফের যদি 'তৃতীয় ঢেউ'-এর বাড়বাড়ন্ত হয়, তাহলে যা পরিস্থিত, তাই থাকার আশঙ্কা। এর মধ্যেই মেদিনীপুর স্টেশনেও যেটুকু ভিড় বা ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেল, তা শুধু রিজার্ভেশন কাউন্টারেই! কারণ দূর-দূরান্ত তো বটেই, কোনও জরুরি কাজে সামান্য হাওড়া বা পাঁশকুড়া যেতে চাইলেও রিজার্ভেশন করাতে হচ্ছে। অপরদিকে, ছুটি থাকায় এবং ধীরে ধীরে বিভিন্ন পর্যটনস্থল স্বাভাবিক হতে শুরু করায়, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সরকারি কর্মচারীরা ভিড় জমাচ্ছেন রিজার্ভেশন করে ঘুরতে যাবেন বলে। অনেকেই কনফার্ম টিকিট পাচ্ছেন, অনেকেই ওয়েটিং, আবার অনেক টিকিট না পেয়ে মন খারাপ করে ফিরে যেতে হচ্ছে!
advertisement
এদিকে, রেল সূত্রে জানা গেছে, স্টাফ লোকালের জন্য টিকেট পাচ্ছেন পুলিশ, আদালত ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। সর্বসাধারণের জন্য রিজার্ভেশন সহ এক্সপ্রেস ট্রেনই ভরসা! তবে, মেদিনীপুর স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, এই স্টেশন থেকে আপ লাইনের দিকে (গড়বেতা অভিমুখে) যাওয়ার জন্য তিনটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে রিজার্ভেশন ছাড়াই। এই তিনটি ট্রেন হল যথাক্রমে- ১. খড়্গপুর - রাঁচি (সকাল ৫ টা ১৫ মিনিটে মেদিনীপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে)। ২. খড়্গপুর - আসানসোল (সকাল ৬ টা ৫০ মিনিটে মেদিনীপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে)। এবং ৩. খড়্গপুর - গোমো (দুপুর ২ টা ৫৩ মিনিটে মেদিনীপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে)। এছাড়াও, খড়্গপুর স্টেশন থেকে আরও কয়েকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন আছে, যেগুলিতে রিজার্ভেশন ছাড়া যাত্রা করা যাচ্ছে আপাতত।