বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার একেবারে সীমানায় রয়েছে দামোদর নদ (West Bardhaman News)। বর্ষার সময় দামোদর নদ দুকূল ভাসিয়ে বয়ে গেলেও, বর্ষা শেষ হতেই দামোদরের বুকে বিভিন্ন জায়গায় জেগে ওঠে চর। বিশাল বিশাল সেই চরের জমি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায়, সেই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলান, নদীর দুই পাড়ে বসবাসকারী মানুষ। এই সব ফসলের মাঝেই, চরের জমিতে লুকিয়ে পোস্ত চাষ করে আসছেন একদল অসাধু কৃষক। দামী মাদক তৈরির কাজে ব্যবহার হয় পোস্তর খোলা থেকে শুরু করে পোস্তর উপক্ষার।
advertisement
স্বাভাবিক ভাবে বেআইনি ভাবে পোস্ত চাষ করে বিপুল অঙ্কের টাকা ঘরে তোলেন ওই অসাধু কৃষকরা। আবগারি দফতর প্রতি বছর নিয়ম করে চরের জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে পোস্ত গাছ নষ্ট করে দিলেও, পরের বছর বিঘার পর বিঘা জমিতে ফের লুকিয়ে চুরিয়ে ওই চাষ করতে শুরু করেন ওই অসাধু কৃষকরা। নদী গর্ভের জমি কোনও ব্যাক্তি মালিকানাধীন না হওয়ায়, ওই অসাধু কৃষকদের চিহ্নিত করা যায় না। সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে পোস্ত চাষ করা কৃষকদের, চিহ্নিত করে করে তাদের শাস্তি দেওয়াও সম্ভব হয়না আবগারি দফতর ও প্রশাসনের।
ইতিমধ্যেই পোস্ত চাষের মরসুম শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার অন্তর্গত দুর্গাচর মানা, মেজিয়া মানা, জপমালি সহ বিভিন্ন গ্রাম লাগোয়া দামোদরের চরগুলিতে লুকিয়ে চুরিয়ে পোস্ত চাষ শুরু হয়েছে (West Bardhaman News)। চলতি বছরের নির্দেশিকা উপেক্ষা করে বেশ কিছু অসাধু কৃষক ইতিমধ্যেই পোস্ত চাষ করতে শুরু করেছেন। তবে এবার কিছুটা সাবধান হতে চাইছে আবগারি দফতর। তাই নেওয়া হয়েছে বিশেষ পন্থা। এবার আগেভাগে আকাশ পথে জমিগুলি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে আবগারি দফতর।
এদিন, মেজিয়া ব্লকের বিস্তীর্ন এলাকায় দামোদরের চরে ড্রোনের সাহায্যে আকাশপথে জমিগুলি চিহ্নিতিকরণের কাজ করেন আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, যে সমস্ত জমিগুলিতে পোস্ত চাষ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করা হবে। পাশাপাশি নজরদারিও চলবে। আগেভাগেই পোস্ত চাষ ঠেকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া আগামী দিনে কিভাবে দামোদরের চরের ওই জমিগুলিতে পোস্ত চাষ বন্ধ করা যায়, সেই বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
Nayan Ghosh