আরও পড়ুন হাওড়ার লক্ষ্মীগ্রাম - যেখানে দুর্গাপুজো নয় , তিন দিন ধরে চলে লক্ষ্মীপুজো
বংশ পরম্পরায় হাতের কাজ করে আসছেন জলপাইগুড়ির (Bengali News, Jalpaiguri) মালকানি মালিপাড়া শোলা শিল্পীরা। কিন্তু বছরের পর বছর গেলেও মেলেনি কোন সরকারি সাহায্য। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা হস্ত শিল্পীদের, সরকারি সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খাড়িজা বেরুবাড়ি ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার মালকানি মালিপাড়ার শোলা শিল্পীদের।
advertisement
মালকানি বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা ধরে প্রায় এক কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই মালিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় থেকে কিছুটা এগিয়ে গেলেই দুই-তিনটি বাঁশ ঝাড়ের নীচে বস্তা পেতে বসে একমনে শোলা কেটে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে দেখা যাবে বাড়ির মহিলা থেকে যুবকদের। এঁদের কাজে সাহায্যের হাত বাড়ির দেন পরিবারের পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যাক্তিরাও (shola workers)। পরণে লুঙ্গি, গামছা এবং গেঞ্জি, কেউ আবার প্রচন্ড গরমের কারণে খালি গায়েই কাজ করে চলেছেন৷
আরও পড়ুন লক্ষ্মীর পুজোর বাজারে সব জিনিসের চড়া দাম ! মাথায় হাত শহরবাসীর
ফণী মালাকার ছাড়াও কল্যাণী মালাকার, ভানু মালাকারা বলেন, 'একেই আর্থিক অনটন, তার ওপরে লকডাউনের ফলে আর্থিক সঙ্কট (poverty) আরও বেড়েছে। সরকারিভাবে কোন সুবিধা পাওয়া যায় না। আগে চাহিদা থাকলেও এখন অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক হয়ে দাঁড়িয়েছে শোলার কাজ। তাছাড়া শোলার দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের চাইতে লোকসানের মুখ দেখতে হয়।'
বলাবাহুল্য, এই মালিপাড়া এলাকায় প্রায় ৮৫টি পরিবার এই শোলার শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিটি পরিবারের কিশোর-কিশোরীরা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পর্যন্ত সকলেই দক্ষ হাতে শোলা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে থাকেন।
Vaskar Chakraborty