বিক্ষোভ মঞ্চের স্থান পরিবর্তন করার পাশাপাশি এই মঞ্চ রিলে অনশন (Protest) মঞ্চে পরিণত হয়। এরপর সোমবার রাত থেকে ফের বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা তাদের আন্দোলনকে জোরদার করতে উঠে পড়ে নামেন। ইতিমধ্যেই বিক্ষোভরত এই পড়ুয়াদের একাংশ বিশ্বভারতী চত্বরে তাদের আন্দোলন এবং মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের মানুষদের পুনরায় বিশ্বভারতীর ওই পড়ুয়াদের (Visva Bharati Students) পাশে দাঁড়াতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
advertisement
বিক্ষোভরত এই পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে সোমবার সন্ধ্যায় রিলে অনশন মঞ্চে হাজির হন শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) এলাকার ১৫টি নাট্যগোষ্ঠী ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সদস্যরা। তারা মঞ্চের সামনে গান গেয়ে সকল পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দেন। এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি এদিন ফের একবার বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের একাংশকে প্ল্যাকার্ড হাতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Vice Chancellor Bidyut Chakraborty) অপসারণের দাবি তুলতে দেখা গেল। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে 'কোন পথে বিশ্বভারতীর সমস্যার সমাধান?'
বিশ্বভারতীর বিক্ষোভরত এই পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানো নাট্য গোষ্ঠীর এক সদস্য জুলফিকার জিন্না জানান, "বেশ কয়েকদিন ধরে আমরা দেখছি এখানে অচলাবস্থা চলছে। বেশকিছু পড়ুয়াকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যে কারণে সকল পড়ুয়াদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ ভুল কিছু নয়। আমরা এই সকল পড়ুয়াদের পাশে আর্থিকভাবে সহযোগিতা ছাড়াও মানসিক দিক দিয়েও পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছি।"
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীতে এই বিক্ষোভ দানা বাঁধে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University Student suspend) তিন পড়ুয়া রুপা চক্রবর্তী, সোমনাথ সৌ এবং ফাল্গুনী পানকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করার প্রতিবাদে। বিক্ষোভ শুরু হয় ২৭ আগস্ট থেকে, যে দিন রাতেই এই পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে।
মাধব দাস