কিন্তু কেন? বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়া ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ এবং রুপা চক্রবর্তীকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করার প্রতিবাদে (Student Protest) এই আন্দোলনের সূত্রপাত। ১৩ দিন আগে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ধীরে ধীরে ঘোরতর রূপ নিলে তা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। হাইকোর্টের একটি রায়ে নির্দেশ দেওয়া হয়, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সহ বিশ্বভারতীর বেশ কিছু নির্দিষ্ট জায়গায়, নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে কোনরকম বিক্ষোভ কর্মসূচি বা আন্দোলন করা যাবে না (Kolkata High Court Order)। পড়ুয়ারা সেই মতো নিজেদের আন্দোলন মঞ্চের স্থান পরিবর্তন করে।
advertisement
অন্যদিকে বিশ্বভারতীর বরখাস্ত হওয়া (Suspended Students) এই সকল পড়ুয়াদের তরফ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে করা আরও একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এই তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করার বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) সিদ্ধান্তকে 'লঘু পাপে গুরু দণ্ড' বলে আখ্যা দেন এবং বরখাস্তের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। এই সকল পড়ুয়াদের পুনরায় ক্লাসের যোগদান করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরেও এখনও পর্যন্ত পড়ুয়াদের পুনরায় ক্লাসের যোগদান করার অনুমতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কোনও রকম বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি বলেই দাবি করেছেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি পড়ুয়াদের তরফ থেকে পুনরায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ইমেল করা সত্ত্বেও কোনরকম পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ (No Response from Visva Bharati) ।
বিক্ষোভরত পড়ুয়া সোমনাথ সৌ দাবি করেছেন, "আমরা আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেই ধীরে ধীরে আমাদের মঞ্চ খোলার কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশ মতো আমাদের পুনরায় ক্লাসে যোগ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোনরকম বিজ্ঞপ্তি (No order from University to students) জারি করেনি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করছে কর্তৃপক্ষ।"
একইভাবে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "আদালতের নির্দেশ মেনে আমরা আপাতত আমাদের আন্দোলন বন্ধ করছি। আমরা তাকিয়ে আছি আগামী বুধবার অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতের রায়ের দিকে। আশা রাখি আদালতের রায় আমাদের দিকেই যাবে। তবে বিশ্বভারতী এখনও অব্দি আদালতের রায় মানেনি। ছাত্ররা ইমেইল করেছিল তা সত্ত্বেও তারা ক্লাসে যোগ দিতে পারেনি।"
আদালতের রায় মোতাবেক ছাত্ররা তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি তুলে নিলেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এখনও ছাত্রদের পুনরায় ক্লাসে যোগ দেওয়া নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণেই সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়া ছাত্রদের এই বিক্ষোভ পুনরায় মাথাচাড়া দিতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে (Protest may start again)।
মাধব দাস