West Bengal News| Laxmi Bhandar: পা দিয়ে ভরে দিচ্ছেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম! বীরভূমের মহিলাদের পাশে বিশেষভাবে সক্ষম জগন্নাথ

Last Updated:

যারা (Birbhum Laxmi Bhandar) নিজেরা নিজেদের ফর্ম ফিলাপ করতে পারছেন না তাদের সহযোগিতার জন্য তৈরি হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় জগন্নাথ মাহারা।

#বীরভূম : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচিতে চলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Laxmi Bhandar) প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপের কাজ। রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় পাশাপাশি বীরভূমের  (Birbhum) বিভিন্ন এলাকায় এই প্রকল্পে ফর্ম ফিলাপের জন্য ভিড় বাড়ছে মহিলাদের (Long Line for Laxmi Bhandar form)। স্বাক্ষর নিরক্ষর সব ধরনের মহিলাদেরই লাইন দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এই সকল আবেদনকারীদের যারা নিজেরা নিজেদের ফর্ম ফিলাপ করতে পারছেন না তাদের সহযোগিতার জন্য তৈরি হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল (Volunteer to fill up form)। আর এই স্বেচ্ছাসেবক দলেই দেখা গেল বিশেষভাবে সক্ষম জগন্নাথকে পা (Specially abled person) দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে সহযোগিতার হাত বাড়াতে।
মঙ্গলবার সিউড়ির (Suri) হাটজান বাজারের রামপ্রসাদ রায় স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে দূরে সরিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে সহযোগিতার হাত বাড়াতে দেখা গেল হাটজান বাজারেরই দুই হাত না থাকা বিশেষভাবে সক্ষম জগন্নাথ মহারাকে (Specially abled person help to fill up Laxmi Bhandar form)। শারীরিক অক্ষমতাকে দূরে সরিয়ে এইভাবে সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে দেখে আপ্লুত এলাকার বাসিন্দারা (Helping people)। পাশাপাশি এই ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি জগন্নাথ, জগন্নাথের এমন স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে খুশি ক্যাম্পের আধিকারিকরাও।
advertisement
advertisement
এই প্রসঙ্গে জগন্নাথ মাহারা সম্পর্কে দু-চার কথা না বললেই নয়। বিশেষভাবে সক্ষম এই যুবক জগন্নাথের জন্ম থেকেই দুই হাত নেই। হাত না থাকার জন্যই তার নাম হয়েছে জগন্নাথ। শারীরিক প্রতিকূলতার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিকূলতাও তার বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে নানান সমস্যা তৈরি করে। তবে এই সকল সমস্যাকে দূরে সরিয়ে ছোট থেকেই তার অদম্য ইচ্ছে ভালোভাবে পড়াশোনা করে মানুষের মত মানুষ হয়ে ওঠার।
advertisement
ছেলের ইচ্ছেমতোই তার মা তাকে স্কুলে পাঠায় পড়াশোনার জন্য। বিশেষভাবে সক্ষম যুবক যুবতীদের পরীক্ষায় অন্যের সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা দিতে লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু জগন্নাথের হাত না থাকলেও তিনি পায়ে লিখতে শেখেন (writing with feet)। আর এই পায়ের মাধ্যমে লিখেই তিনি একের পর এক পরীক্ষাই পাস করেন। স্কুলের গণ্ডি পার করে অনায়াসেই কলেজের গণ্ডিও পার করতে সক্ষম হন। বিভিন্ন সংস্থা এবং মানুষের সহযোগিতা নিয়ে নিজের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করার পর এখন তিনি নিজেই অবৈতনিক স্কুল খুলে নিজের এলাকার খুদে শিশুদের পাঠদান করছেন। এর পাশাপাশি লকডাউন এবং অন্যান্য প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। মোটের উপর এই জগন্নাথই যেন সাক্ষাৎ শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভুর প্রতীক।
advertisement
মাধব দাস
view comments
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
West Bengal News| Laxmi Bhandar: পা দিয়ে ভরে দিচ্ছেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম! বীরভূমের মহিলাদের পাশে বিশেষভাবে সক্ষম জগন্নাথ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement