প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে মোট ৯৬৩ জন রেশন ডিলার রয়েছেন যাদের মধ্যে ১৪৫ জন রেশন ডিলারকে এই পাইলট প্রজেক্টের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। তারা বুধবার থেকে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ক্যাম্প করে এই দুয়ারে রেশন দেওয়ার কাজ শুরু করে দিলেন।
আরও পড়ুন Durga Puja 2021: মৃৎশিল্পীদের হাতে কাজ কম, এবারও কি দুর্গাপুজো-এ থাকবে না চমক?
advertisement
এদিন এই প্রকল্পের সূচনা হিসেবে যে সব রেশন ডিলারদের (Ration dealer) এই প্রোজেক্টের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, তারা তাদের গাড়িতে করে রেশন সামগ্রী নিয়ে নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছে যান। সেখানে উপভোক্তারা লাইন দিয়ে ই-পস মেশিনে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে নিজেদের প্রাপ্য রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করেন। নতুন এই প্রজেক্ট নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
দুয়ারে রেশন প্রকল্পের শুরুতেই বীরভূমের সিউড়ি (Birbhum, Suri, Duare Ration) এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ছয়টি জায়গায় এই প্রকল্পের আওতায় রেশন দেওয়ার কাজ শুরু হয়। যেগুলির মধ্যে দুটি ক্যাম্প করা হচ্ছে সিউড়ি পৌরসভা এলাকায় এবং বাকি চারটি ক্যাম্প করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী পঞ্চায়েত এলাকায়। আগামী মাসে এই ক্যাম্পের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে এবং ভাইফোঁটার দিন থেকে পুরোদমে এই প্রকল্প শুরু হয়ে যাবে বলেই আশা করছেন সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবদত্ত মণ্ডল।
এদিন সকাল থেকে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর সিউড়ি (Birbhum, Suri) এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মল্লিকপুরের গজালপুর নামে একটি আদিবাসী গ্রামে ক্যাম্প করা হয়। যেখানে ওই ক্যাম্পে গিয়ে ঘরের কাছে রেশন সামগ্রী পেয়ে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। অন্যদিকে এই গ্রামে ক্যাম্প করা নিয়ে রেশন ডিলার জানিয়েছেন, "এই আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দাদের আমার দোকানে গিয়ে রেশন আনার জন্য অনেকটা দূরে যেতে হতো। সেই জন্য আমি এই গ্রামটিকে বেছে নিয়েছি এই ক্যাম্প করার জন্য। এখন এই মানুষদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হচ্ছে।"একইভাবে গজালপুরের বাসিন্দা সুবোধ হাঁসদা জানিয়েছেন, "কষ্ট করে আর দূরে যেতে হচ্ছে না রেশন নিতে। এতে আমাদের সময় বেঁচে যাচ্ছে। আমরা ওই সময় অন্য কোন কাজ করতে পারবো।"
দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য রেশন ডিলাররা (Duare Ration, Ration dealer) গাড়ি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করছেন৷ সেই গাড়িতে রয়েছে প্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী, ই-পস মেশিন, ওজন করার যন্ত্র ইত্যাদি।
মাধব দাস