ভাদু কৃষি লক্ষ্মী বলেই পরিচিত। পুরুলিয়া জেলায় ভাদু উৎসব (Bhadu Festival in Purulia) এর উৎপত্তি হলেও বীরভূমের কৃষি প্রধান এলাকায় ভাদ্র মাসে গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা ভাদুর মৃন্ময়ী মূর্তি নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নাচ ও গান করে বেড়ান (Traditional song and dance)। অন্যদিকে সংসারের মঙ্গল কামনায় সিন্দুর এবং অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে ভাদুর এই মৃণ্ময়ী মূর্তিকে বরণ করে নিতে দেখা যায় গৃহবধূদের। তবে এই সকল ছবি এখন আর ধরা পড়ে না বললেই চলে।
advertisement
মানুষের কর্মব্যস্ত জীবনে (Busy life) ভাদু যখন হারিয়ে যেতে বসেছে ঠিক সেই সময় বীরভূমের দুবরাজপুর এলাকার লক্ষীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রূপ শিমুলপুর গ্রামের কয়েকজন মহিলা এই ভাদুকে আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টায় গ্রাম থেকে শহর গান গেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। একইভাবে গান গেয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে সিউড়ির পার্শ্ববর্তী কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন অখ্যাত শিল্পীকে। ভাদু উৎসবকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টায় লাভপুরের বাঘা গ্রামের কয়েকজন শিল্পী (local want to save this tradition)। এমন টুকরো টুকরো ছবি বীরভূমের আনাচে-কানাচে নজরে আসে। তবে আগের মত ভাদ্র মাসে ভাদুর দেখা মিলবেই, এমন কোন গ্যারান্টি এখন আর নেই।
ভাদু নিয়ে বের হওয়া শঙ্করী বাগদি জানিয়েছেন, "আমরা গ্রামের মহিলারা নিজেদের বাড়ির কাজ ছেড়ে ভাদু নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি। গত তিন বছর ধরে আমরা এই ভাদু গান ও নাচের ব্যবস্থা করেছি। এতে আমাদের অল্পবিস্তর কিছু রোজগার হয়। তবে মানুষের মধ্যে এখনো এই ভাদুকে নিয়ে উৎসাহ আছে।" তাদের আরও দাবি, আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ভাদুকে সেই ভাবে সাজানোর জন্য কাপড় কেনা সম্ভব হয় না। কারণ সেভাবে কোথাও আর্থিক সাহায্য মেলে না। আর্থিক সাহায্য না থাকার কারণে বাদ্যযন্ত্র (no monetary help)কেনাও সম্ভব হয় না। হাতের কাছে থাকা খঞ্জনি, ঝুনঝুনি এসব নিয়েই তারা ভাদু উৎসবে মেতেছেন। আর্থিক সাহায্য মিললে আরও ভাল ভাবেই তারা ভাদু উৎসব (with help this festival to be celebrated well) করতে পারবেন, এমনটাও তারা জানিয়েছেন।
মাধব দাস