এখান থেকে হাতের মুঠোয় ধরা যায় পুরো কুঠিঘাটের সৌন্দর্য। রামকৃষ্ণ মিশনের মন্দির ও পাঠশালা, একটি প্রাচীন কালী মন্দির এবং ইংরেজ আমলের পুরনো নীলকুঠিও রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে। সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বারবার মন কাড়বে আপনার। রাতের জোৎস্নায় যখন ভেসে যাবে বালিয়াড়ি , নদী যখন ঘুমিয়ে পড়বে– তখনও আপনি দূরে তাকালে দেখবেন গোপীবল্লভপুরের ব্রিজ। আলোর নকশা কাটতে কাটতে সর্পিল গতিতে চলে যাচ্ছে মালবাহী ট্রাক। সকালে নদীর চরে বসে বকেদের মেলা। মাছরাঙা টিপ টিপ করে ধরছে মাছকে। তখন বাইনোকুলার হাতে নিলে পাখিদের বিচিত্র রঙ দেখতে পাবেন। সব মিলিয়ে এই ওফবিট ডেস্টিনেশন ভুলিয়ে দেবে সব ক্লান্তি।
advertisement
আরও পড়ুন : চারদিকে সবুজ, মাঝে শান্তশিষ্ট নদী! হাতের কাছেই রয়েছে বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার পারফেক্ট স্পট, না জানলে মিস
স্থানীয় বাসিন্দারাও প্রতিদিন বিকেলে সবুজ ঘেরা নদীতীরে সময় কাটাতে আসেন। স্থানীয় যুবকদের আড্ডা, নদীতে মাছ ধরতে ব্যস্ত জেলেরা, ও গ্রামের শিশুরা মিলিয়ে এক প্রাণবন্ত অথচ শান্ত পরিবেশ তৈরি করে এখানে। একবার যিনি আসবেন, বারবার ফিরে আসতে চাইবেন এই অপরূপ কুঠিঘাটে। পর্যটকদের জন্য বার্তা একটাই—ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের কুঠিঘাট আপনাকে শুধু প্রকৃতির সান্নিধ্যই দেবে না, সঙ্গে দেবে মানসিক শান্তি ও অপার আনন্দ।
আরও পড়ুন : দার্জিলিংয়ে বড্ড ভিড়? পাহাড়-নদী-সবুজের সমারোহে মোড়া কানাইসর পাহাড় থেকে ঘুরে আসুন
কীভাবে পৌঁছাবেন এই গন্তব্যে? কলকাতা থেকে আসতে চাইলে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে সাড়ে তিন ঘণ্টার পথ ঝাড়গ্রাম পর্যন্ত। সেখান থেকে বাস ধরে রান্টুয়া বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে, তারপর সেখান থেকে টোটো বা ছোট গাড়িতে মাত্র ১ কিলোমিটার পথ পেরোলেই পৌঁছে যাবেন কুঠিঘাটে। এছাড়াও, ধর্মতলা থেকে সরাসরি ঝাড়গ্রামের উদ্দেশে বাস ছাড়ে, যা প্রায় ৩ ঘণ্টায় পৌঁছে যায়। এই পথটিও আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক।
তন্ময় নন্দী