এবার গেঁওখালিতে তাঁবুতে রাত্রিবাস। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের অন্তর্গত ত্রিবেণী সঙ্গমের ঠিক পেছনেই ব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁবুর। সেখানেই রাত্রিবাস করতে পারবেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা। হুগলি, হলদি ও রূপনারায়ণ এই তিন নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত গেঁওখালি। আর সেখানেই গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। তাঁবুতে রাত্রি বাসার জন্য ইতিমধ্যে পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ লক্ষ্য করা গেছে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে বুক করা যাবে তাঁবুগুলি। প্রত্যেকটি তাঁবুতে দু’জন করে থাকতে পারবেন। তাঁবুর ভাড়া থাকছে ২০০০ টাকা। বছর শেষের সময় এখন প্রায় প্রত্যেকদিন তাঁবুগুলির বুকিং কমপ্লিট বলা চলে। বিশেষ করে শহরে মানুষজন ছুটির দিনগুলি কাটাতে বেছে নেন শান্ত নিরিবিলি নদীর ধারে কোনও পর্যটন কেন্দ্রকে।
advertisement
গেঁওখালীতে তাঁবুতে রাত্রিবাস নিয়ে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর জানিয়েছেন, “তাঁবুকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ভালই সাড়া মিলছে। তাঁবুর পাশে রয়েছে পুকুর। সেখানে রংবাহারি আলো দিয়ে সাজানোর পাশাপাশি ছাড়া হয়েছে মাছ। এছাড়াও কিছুটা দূরেই তৈরি করা হয়েছে মনোরম উদ্যান। আর এসব মিলিয়ে বর্তমানে পর্যটকদের তাঁবুতে রাত্রিবাসের আকর্ষণ অনেকটাই বেড়েছে বলা চলে।” দিঘাতে পর্যটকদের ভিড় জমলেও সেখানে অতিরিক্ত জনসমুদ্রের কারণে অনেকেই বেড়াতে আসেন গেঁওখালিতে। ইতিমধ্যে পর্যটকদের ভিড় সামাল দিতে তাঁবুর পাশাপাশি নতুন ভাবে আরও একটি গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। আগেও একটি গেস্ট হাউস ছিল। তার ঠিক পাশেই আরও একটি গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছে।
তাঁবুতে রাত্রিবাসের পাশাপাশি থাকছে খাওয়ারের এলাহি আয়োজন। অর্ডার মত সরবরাহ করা হবে খাওয়ার। এছাড়াও আগামী দিনে গেঁওখালিতে আগত পর্যটকদের নিয়ে বিশেষ ট্যুর প্যাকেজ করার পরিকল্পনা রয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের। সেখানে যুক্ত করা হবে মহিষাদল রাজবাড়ি, মিরপুর পর্তুগিজ পাড়া, তমলুক রাজবাড়ির মত দর্শনীয় স্থান। আগামী দিনে গেঁওখালি রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সৈকত শী