Guess the Celebrity: অভাগা অভিনেত্রী...! বিয়ে করে ধর্ম পরিবর্তন, টেকেনি সংসার, ডিভোর্সের নরকযন্ত্রণায় অকালে জীবনটাই শেষ বিখ্যাত নায়িকার

প্রেমের উত্তেজনায় মানুষ প্রায়ই এমন পদক্ষেপ নেন, যার ফল সারাজীবন ভোগ করতে হয়। বলিউডের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর সঙ্গেও এমনই ঘটনা ঘটেছে। যখন তিনি প্রেমের টানে একজন মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করেন, তখন সম্প্রদায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্ছেদ করে এবং মন্দিরে তার প্রবেশও বন্ধ করে দেয়।

সেই কঠিন সময়ে, ইসলাম তাকে গ্রহণ করেছিল, কিন্তু তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বহু বছর পর সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী৷ যা জানলে চমকে যাবেন আপনি৷

২০ বছর বয়সে একজন মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করে নিজের পরিবারকে বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন এই বিখ্যাত অভিনেত্রী। কিন্তু সেই সম্পর্কও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি৷ নিজের চেয়ে ১৮ বছরের বড় স্বামীর সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা শুরু হয়।

৫০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর ৩০ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। 'কাহো না পেয়ার হ্যায়', '৩৬ চায়না টাউন'-এর মতো ছবিতে কাজ করে তিনি বিখ্যাত হয়েছিলেন। তিনি হলেন তানাজ ইরানি, যাকে তার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছিল। যদিও আজ তিনি তার দ্বিতীয় স্বামী বখতিয়ার ইরানির সঙ্গে সুখী জীবনযাপন করছেন, তবে অতীতে তাকে চরম কষ্ট করতে হয়েছে৷

তানাজ ইরানিও এমন সময় দেখেছেন যখন তাকে লাঠির সাহায্যে হাঁটতে হয়েছে। তার দ্বিতীয় স্বামী বখতিয়ার ইরানি সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই জানেন, কিন্তু তার প্রথম স্বামীর নাম ফরিদ কুরিম সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। তিনিও একজন শিল্পী। দু'জনের বয়সের পার্থক্য শুধু সমস্যাই ছিল না, তারা ভিন্ন ধর্মেরও। তানাজ তাকে বিয়ে করলে পার্সি সম্প্রদায় তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়।

ফরিদ কুরিমের সঙ্গে বিয়ের এক বছর পর মা হন তানাজ। অভিনেত্রীর মেয়ের বয়স ৩০ বছর এবং তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে থাকেন। সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে, তিনি এর আগে তার স্বামী সম্পর্কে বলেছিলেন, 'তিনি থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমি তার অভিনয়, গান এবং কাজের ধরন পছন্দ করেছি। বয়সের পার্থক্যের কারণেই সমস্যা শুরু হয়।

তানাজ স্বীকার করেছেন যে বিয়ের সময় তিনি জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু বুঝতে পারেননি। তিনি কেবল কঠোর পরিশ্রম করতে এবং জীবন উপভোগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বয়সের পার্থক্যের কারণে তারা সমন্বয় বজায় রাখতে সক্ষম হয়নি। তিনি আরও বলেন, 'তিনি একজন ভাল মানুষ। সংসারটাও খুব ভাল। তিনি ভুল ছিলেন না, কিন্তু আমাদের সম্পর্ক ৮ বছর পরে ভেঙে যায়।

তানাজ ইরানির পার্সি সম্প্রদায় মুসলিম পুরুষের সঙ্গে তার বিয়ের বিপক্ষে ছিল। যখন তিনি ফরিদ কুরিমকে বিয়ে করেন, তখন সম্প্রদায় তাকে এড়িয়ে চলে। তাদের সব অধিকার কেড়ে নেয়। ফায়ার টেম্পলে তার প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কঠিন সময়ে ইসলাম তাকে আশ্রয় দেয়।

তানাজ ইরানি তার মেয়েকে পার্সি রীতি অনুযায়ী মানুষ করতে চান। অভিনেত্রীর তিনটি সন্তান রয়েছে। তার দ্বিতীয় স্বামী বখতিয়ার ইরানি তার থেকে ৮ বছরের ছোট। বহু বছরের সম্পর্কের পর দুজনেই বিয়ে করেন, বর্তমানে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।