কোচবিহারের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দত্ত জানান, “বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতেকে রাতে দেরী করে খাবার খেয়ে থাকেন। আধুনিক জীবনযাত্রায় যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। কাজের চাপে অনেক সময় খাবার খাওয়ার কথাই মনে থাকে না। ব্যস্ততম জীবনে যেখানে তাড়াতাড়ি নৈশভোজ সেরে নেওয়ার অভ্যাস নেই বললেই চলে।”
আরও পড়ুনঃ হুহু করে বাড়ায় হিমোগ্লোবিন, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়, ব্রকলির কার্যকারিতা জেনে রোজ খান
advertisement
তিনি আরও বলেন, “মাঝেমাঝেই রেস্তোরাঁয় গিয়ে ভূরিভোজের পরিকল্পনা থাকে অনেকের। বিভিন্ন কারণে অনেকেই প্রায় মধ্যরাতে পার করে খাবার খান। যার ফলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা লেগেই রয়েছে। ডায়াবিটিস, হৃদরোগ, কোলেস্টেরলের মতো শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম উৎস হল দেরি করে রাতের খাবার খাওয়া। কিন্তু, এই সমস্যার থেকে খুব স্বল্প সময়ে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।”
আরও পড়ুনঃ খালি পেটেই কেন সুগার টেস্ট? খাওয়ার পরে ফের কেন রক্ত নেওয়া হয়? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে পারেননি
এ ছাড়া তিনি আরও জানান, “তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার স্বাস্থ্যগুণ অনেক। তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলে হজম ভাল হয়। হজমের গোলমাল হওয়ার কোনও ঝুঁকি থাকে না। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া যদি সন্ধের মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া যায়। তবে ঘুম ভাল হয়। অনিদ্রার সমস্যা থাকলে রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়াই ভাল। সূর্যাস্তের আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিলে সবচেয়ে ভাল। কিন্তু অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব হয় না।”
তবে আপনি রাতে আট’টার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করে নিলে খুব ভাল শরীরের জন্য। দীর্ঘায়ু পেতে হলে রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তাতে হজমও দ্রুত হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বার্ধক্যজনিত রোগের ঝুঁকিও কমবে তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়ার অভ্যাসে।
Sarthak Pandit





