Diabetes: খালি পেটেই কেন সুগার টেস্ট? খাওয়ার পরে ফের কেন রক্ত নেওয়া হয়? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে পারেননি

*গ্লুকোজ সাধারণত ব্লাড সুগার নামে পরিচিত। শরীরের শক্তির প্রধান উৎস। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণে। শরীরে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বেড়ে গেলে মুশকিল। সকালে খালি পেটে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু খালি পেটে কেন? সংগৃহীত ছবি। 

*মিষ্টি জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ: কোনও শুভ খবর মানেই, মিষ্টিমুখ। উৎসবের মরশুমে বাড়িতেই তৈরি হয়। অনেকের আবার শেষ পাতে মিষ্টি না হলে চলে না। কিন্তু আজ মিষ্টি অনেকের কাছেই বিষ। সংগৃহীত ছবি। 

*প্রতিদিন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী অনেকেই এই রোগে প্রাণ হারাচ্ছেন। জিনগত কারণে তো বটেই, ভুল জীবনযাত্রার কারণেও ডায়াবেটিস হতে পারে। সংগৃহীত ছবি। 

*রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কারণ: গ্লুকোজ, যা সাধারণত রক্তে শর্করা হিসাবে পরিচিত, শরীরের শক্তির প্রধান উৎস। এবং এটিই সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখে। মানুষ প্রতিদিন যে ক্যালোরি গ্রহণ করে তার উপর নির্ভর করে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ে বা কমে। সংগৃহীত ছবি। 

*কম ইনসুলিন নিঃসরণ, কোষে গ্লুকোজ ব্যবহার হ্রাস এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজ উৎপাদনের কারণে হাইপারগ্লাইসেমিয়া (শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি) ঘটে। এর ফলে ডায়াবেটিস হয়। সংগৃহীত ছবি। 

*নিয়মিত পরীক্ষা: ৪৫ বছর বয়সী প্রত্যেকের তিন বছর অন্তর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত। এছাড়াও, যাঁদের ওজন বেশি বা ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কম গুড কোলেস্টেরল, হৃদরোগ এবং পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম আছে তাঁদের অল্প বয়সেই পরীক্ষা করা উচিত। সংগৃহীত ছবি। 

*পরীক্ষা: খাওয়ার আগে এবং খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। HbA1c পরীক্ষা হিমোগ্লোবিনে গ্লুকোজ অণুর শতাংশ পরিমাপ করে। এই পরীক্ষাটি গত তিন মাসের গ্লুকোজের মাত্রাও গণনা করতে পারে। সংগৃহীত ছবি। 

*প্রাক-ভোজন (সকালে) রক্তে শর্করার পরীক্ষা (FBS পরীক্ষা): সঠিকভাবে ডায়াবেটিস নির্ণয় করার জন্য একটি সহজ কিন্তু কার্যকর পরীক্ষার পদ্ধতি হল প্রাক-ভোজন (সকালে) রক্তে শর্করার পরীক্ষা। রাতে খাবার ৮ ঘণ্টা পর সকালে এই পরীক্ষা করা হয়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়। সংগৃহীত ছবি। 

*কোনও ব্যক্তির খাওয়ার আগে রক্তে শর্করার মাত্রা থাকে ৭০-৯৯ mg/dL। ১০০-১২৫ mg/dL হল প্রাক-ডায়াবেটিস। প্রি-ডায়াবেটিস মানে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। খাওয়ার আগে রক্তে শর্করার মাত্রা ১২৬ mg/dL এবং খাবার-পর রক্তে শর্করার মাত্রা ২০০ mg/dL মানে সেই ব্যক্তির ডায়াবেটিস আছে। সংগৃহীত ছবি।