বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে এডিজে ২ পক্সো আদালতে মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে আদলত। তার সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিনমাসের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার সঙ্গে ধর্ষিতাকে তিন লক্ষ টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়ার সুপারিশ করেছে আদালত।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালে সাঁকরাইল থানা এলাকায়। ১৭ জুলাই ২০১৮ সালে সাঁকরাইল থানায় ঘটনার দিনই অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্ত নন্দকে ওই দিনই গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর স্কুল ছাত্রী তার বাবার সঙ্গে বাড়িতে একা থাকত। তার মা বছর পাঁচেক আগে মারা গিয়েছে। ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায় দুপুরে বাড়িতে আসেন তিনি। মেয়ের কাছে খেতে চান। মেয়ে ভাত দেওয়ার পর খেয়ে উঠে পড়ে সে। এর পর নাবালিকা মেয়েকে জোর করে ঘরে ভিতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
advertisement
ঘটনার পরেই মেয়েটি চিৎকার করতে করতে কাঁদতে, কাঁদতে বাইরে এসে তার জেঠিমা কে সব কিছু বলে। সেই সময় তার কাকিমা এবং প্রতিবেশীরাও পুরো ঘটনাটি শোনেন। তাকে সাঁকরাইল ব্লকের ভাঙাগড় গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পাঁচ দিন সে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিল। ১৮ আগস্ট ২০১৮ চার্জশিট গঠন হয়। ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে বিচার পক্রিয়া শুরু হয়। মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় আদালতে। আদলত এই ঘটনাকে বিরলতম ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর পকসো আদালত জয়ন্ত রায় বলেন, “এডিজে ২ আদালতের বিচারক বলেছেন এটি একটি বিরলতম ঘটনা। এখন থেকে এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে কোনও বাবা-মাকে তার ছেলেমেয়েরা বিশ্বাস করতে পারবে না। সেই জন্য এই সব অপরাধীদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া উচিত। “
রাজু সিং