এক সময় বাঙালি চা শিল্পপতিদের হাতে থাকা এই কাঠালগুড়ি চা বাগান রুগ্ন হতে হতে বন্ধ হয়ে যায় ,করোনা কাল মিলিয়ে প্রায় দশ বছর পর নতুন মালিকের হাত ধরে আবার শুরু হয় শুধুই চা পাতা তোলার কাজ ,কারণ কালের পরিহাসে বাগানের নিজস্ব চা কারখানাটি আজ নিশ্চিহ্ন।তবুও একে বারে অনাহারে থাকার চেয়ে বর্তমানে এক বেলা খাবারের জোগাড় তো হয়েছে এই চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত প্রায় আট হাজার মানুষের। তবে কিছুতে যেন পিছু ছাড় ছিল না , পানীয় জলের কঠিন সংকটের মায়াজাল।অবাক হলেও সত্যি ,আজও এই চা বাগানে বসবাসকারি একটি বড় অংশের মানুষের তৃষ্ণা মেটায় সরু পাইপের মধ্যে দিয়ে আসা সেই দূরের ভুটান পাহাড়ের গা ঘেষে বয়ে চলা চামুরচি নদীর ঘোলা ডোলোমাইট মিশ্রিত জল এক সময় চা বাগান কর্তৃপক্ষ যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছিল আজ তা চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ৷
advertisement
আরও পড়ুন - Howrah News: ধুমধাম সহকারে লাগানো হচ্ছে চারাগাছ, এদিকে বড় গাছে চলছে অত্যাচার
এরপর রাজ্য সরকারের পি এইচ ই দফতর এগিয়ে এসে কিছুটা মিটিয়েছে চা বাগান শ্রমিকদের তৃষ্ণা, তিনটি টিউবওয়েল দিয়ে বর্তমানে চলছে জল সংকট মেটাবার চেষ্টা।তবে তাতেও প্রতিটি মানুষের কাছে আজও পৌঁছায় নি পানীয় জল, যা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে ,হয়েছে বিক্ষোভ।
অবশেষে হয়তো জল পেতে চলেছে কাঠালগুড়ি চা বাগানের মানুষজন, এই প্রসঙ্গে চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা উমেশ দর্জি জানান, , পি এইচ ই ,দফতর এখানে একটি বড় জলাধার নির্মাণ করছে যার জল ধারণ ক্ষমতা ২০০ কিউবিক মিটার।
তবে শুধুই যে স্বচ্ছ পানীয় জলের কষ্ট তাই নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য চা বাগান থেকে প্রতিদিন মহিলাদের যেতে হয় দূরে ভুটান পাহাড়ের গায়ে। কাঠালগুড়ি চা বাগানের কর্মী জানান, পাহাড়ী ঝোড়ার জল পান করতে হয় আমাদের যাতে থাকে প্রচুর পরিমানে ডোলোমাইট, নতুন জলের ট্যাংক তৈরি হলে আমাদের এই সমস্যা মিটবে।
Geetasree Mukherjee