রাস্তার পাশে বা ছোট দোকানে একটি ছোট্ট বাক্স নিয়ে বসে থেকে দীর্ঘ কয়েক যুগ যারা চর্ম শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, সেই মানুষ গুলো আজ এই পেশা বয়ে নিয়ে যেতে অপারগ। একসময় এই শারদ উৎসবের দিনগুলোতে নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় পেত না এই চামড়ার কারিগর বা স্থানীয় ভাষায় মুচি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। একদিকে যেমন অর্ডার আসত নতুন জুতো তৈরি করার তার সঙ্গে ব্যবহার করা জুতো মেরামত করে ঝাঁ চকচকে পালিশের কাজ নিয়ে ছুটে আসত উচ্চ থেকে মধ্যবিত্ত সবাই।যুগের সঙ্গে মানুষের চাহিদা বদলেছে সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়া এসেছে মানুষের জীবনে।
advertisement
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প! ৪ ঘন্টার মধ্যেই মণিপুরের পর আবারও কেঁপে উঠল আন্দামান, বাড়ছে আতঙ্ক
আরও পড়ুন- ‘ব্লাউজ খুলে শুধু ব্রা পরতে হবে’, অমিতাভের সঙ্গে শ্যুটিংয়ে মেজাজ হারান মাধুরী, পরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর
বর্তমান প্রজন্ম খুব বেকায়দায় না পড়লে রাস্তার পাশে বসে থাকা জুতো মেরামত করে দেওয়া মানুষটির দিকে ফিরেও তাকায় না। সেই সুই সুতো , কালো ব্রাশ, ছোটো ছোটো পেরেক মোম দিয়ে ঘষে নেওয়া জুতো সেলাইয়ের বিশেষ সুতোর ক্রমশই যেন ব্যবহার কমে যাচ্ছে। তবে জলপাইগুড়ি শহরের বেশ কয়েক জন প্রবীণ এবং নবীন চর্ম শিল্পী সরকারের কাছে আবেদন রেখে বলেন, পূজোর মরশুমে যদি কিছু অনুদান পাওয়া যেত তাতেও অনেকটাই সুবিধে হত এই পেশাটিকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে। মুচি বা চামড়ার কারিগর সম্প্রদায়ের নতুন প্রজন্মের সদস্য পাপাই দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, আমার বাবা শঙ্কর দাস দীর্ঘ পাঁচ দশক এই কাজ করেই আমাদের লেখা পড়া শিখিয়ে বড় করেছে। আজ বাবা নেই, তবে বাবার পেশার সঙ্গে একটু নতুনত্ব যুক্ত করে আমিও এই কাজ করে যাচ্ছি। জুতো মেরামতের সঙ্গে মেশিনে তৈরি নতুন জুতো চটি বিক্রি শুরু করেছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি পূর্বপুরুষদের এই পেশাটিকে বাঁচিয়ে রাখতে।
সুরজিৎ দে