প্রায় প্রতি পরিবারেই এই সমস্ত জিনিসের কমবেশি চাহিদা ছিল । সেই চাহিদা মেটাতে ভাল বাজার তৈরি হয় ৷ তারা হাওড়া, ডোমজুড়, মাকড়দহে মধ্যবর্তী হাওড়া-আমতা রোড এর পার্শ্ববর্তীতে স্থায়ী বসবাস শুরু করে । সহজেই সেখানে জিনিসপত্র তৈরি করে পার্শ্ববর্তী জনবহুল গ্রামে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিত । সেইসঙ্গে রাস্তার ধারে বিশাল তৈরি জিনিসের পসরা সাজিয়ে রাখত! পথচলতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ হলে সেখানেও খরিদ্দার পাওয়া যেত । তবে বর্তমানে গৃহস্থলিতে বাঁশের তৈরি জিনিসের বদলে প্লাস্টিকের জিনিস অনেকটা জায়গা করে নেয়। তাতেই ধীরে ধীরে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয় ।
advertisement
আরও পড়ুন : বালি, লবণ, চালের সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে মুড়ি
আরও পড়ুন : হেঁচকি বন্ধ করা থেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ-আমপাতার এই গুণগুলো জানতেন?
বর্তমান চাহিদামতো শিল্পীরাও এখন ঝোড়া, চুবড়ির পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন শৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করছে । ফুলদানি, র্যাকের মতো নানা রকম ঘর সাজানোর জিনিস তো আছেই । বর্তমানে প্রায় পনেরো থেকে কুড়িটি পরিবার বসবাস করছে ডোমজুড় মাকরদহ মধ্যবর্তী হাওড়া-আমতা রোডের পার্শ্ববর্তীতে। তাঁদের কথায়, তৈরি জিনিসের দাম বেড়েছে তবে বিক্রি করার জায়গা না থাকায় সমস্যায় শিল্পীরা । ধীরে ধীরে পরিবারের পুরুষ কারিগররা অন্যান্য কাজে যুক্ত হচ্ছেন, মহিলারাই এখন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন । সরকারি সহযোগিতার আশায় মুখ চেয়ে রয়েছেন তাঁরা। সহযোগিতা পেলে আগামী দিনে শিল্পের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আশা করছেন৷ সাহায্য না পেলে হয়তো ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবে এই শিল্প।
(প্রতিবেদন- রাকেশ মাইতি)