আরও পড়ুন - Valentine's Day: হায় ভালবাসা, পণ নিয়ে টানাপোড়েন, বউকে প্রেমের দিনে ছুরি মারল খোদ স্বামী
ইতিহাস বিজড়িত এই পর্যটন কেন্দ্র কলকাতা ও বাংলার মানুষের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থানে হিসাবে গড়ে উঠতে চলেছে। তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রতিবছর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে যেভাবে মানুষের ঢল নামে তা দেখেই বোঝা যায়। ঐতিহাসিক এই স্থানের প্রতি মানুষের কদর কতটুকু। পুরনো ভগ্ন মন্দিরের একাংশ অবশিষ্ট রয়েছে। যা জীবন্ত ইতিহাস বর্তমান সময়ের কাছে। সেটিকে রক্ষা করা এবং বিভিন্ন ভাবে পর্যটকদের আকর্ষিত করতে সেজে উঠছে ওই স্থান। বছরের নির্দিষ্ট কয়েকদিন মেলা ছাড়াও সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। তবে পর্যটকদের কলকাতা বা শহর হাওড়া হয়ে আসতে বেশ ধকলে পড়তে হয়। সেই সমস্যার অবসান, এবার কলকাতা বা হাওড়া থেকে এক বাসেই গড় ভবানীপুর পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবে পর্যটকরা।
advertisement
অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে এই বাস রুটের সূচনা। বিধায়ক সমীর কুমার পাঁজা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই বাস রুটের সূচনা করেছিলেন। পাঁচলার অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে। সোমবার ১৪ ই ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হলেও মঙ্গলবার ভোর থেকে মানুষ বাস পরিষেবা পাবেন। এর ফলে গড় ভবানীপুর থেকে হাওড়া বা কলকাতা কর্মস্থলে সহজেই পৌঁছবে স্থানীয় মানুষ। পাশাপাশি এই বাস যোগাযোগের মাধ্যমে স্থানীয় মার্কেট জমে উঠবে মনে করছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন - Madhyamik Exam Tips: হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন, রইল ইতিহাসের পরীক্ষার জন্য শেষ মহূর্তের টিপস
এ বিষয়ে বাস মালিকরাও আশার আলো দেখেই পথে নেমেছেন। জানা যায় প্রায় ছ'টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় এক লক্ষ কুড়ি পঁচিশ হাজার মানুষের বসবাস। সেখান থেকে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক যাত্রী পাবেন বলেই আশাবাদী বাস মালিক। অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীদের সুবিধা বাঁচবে সময়, টাকা। মাঝ রাস্তায় বাহন পরিবর্তন করে যাতায়াতের ধকল কমলো বলেই জানাচ্ছেন যাত্রীরা। দুটি নতুন রুট এবং একটি রুট এক্সটেনশন করা হয়, যাত্রী সচ্ছন্দে। আগামী দিনে জনপ্রিয় স্থানে দূরপাল্লার বাস চালানোর উদ্যোগ নেওয়ার কোথাও জানা যায়। যেমন গড় ভবানীপুর থেকে তারাপীঠ বা দীঘার মত স্থানে নিয়মিত বাস পরিষেবার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
রাকেশ মাইতি





