মূলত চাষ আবাদি অধিকাংশ পুকুরেই জাল লাগানো থাকতে দেখা যাচ্ছে। পুকুরে মাছ শিকার করতে গিয়ে জালে আটকা পড়ছে। বক, পানকৌড়ি, মাছরাঙার মত পাখিরা। অন্য দিকে ঘুকু কাক বা পেঁচার মত পাখিরা উড়ে যেতে গিয়ে নজর এড়িয়ে সূক্ষ্ম জালে আটকে পড়ছে। এর মধ্যে যে ঘটনা পশুপ্রেমীদের নজরে আসে, সেগুলির প্রাণ বাঁচে। তবে বহু পাখি এবং প্রাণী এই জালে আটকে প্রাণ হারাচ্ছে। তাতেই চিন্তা বাড়ছে পরিবেশ প্রেমীদের।
advertisement
আরও দেখুন
এ বিষয়ে বহু সচেতনরা অভিযান প্রচার পোস্টার। তাতেও আটকানো যাচ্ছেনা জাল ব্যবহার অভিযোগ পরিবেশ প্রেমীদের। এ প্রসঙ্গে মাজু গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ মন্ডল জানান, পুকুরে দেওয়া জালে আটকে পড়ছে বিভিন্ন পাখি। নজরে এলে তাদের ছাড়িয়ে দেয়া হয়। গত দু-তিন মাসে তিন থেকে চারটি পাখি মুক্ত করা হয়েছে জাল থেকে। মাছ চাষের জন্য পুকুরে জাল আটকে দিচ্ছে ব্যবসায়ী। সেই সমস্ত ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে সজাগ হতে হবে। কোন প্রাণী বা পাখি ওই জালে আটকে পড়লে দ্রুত খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি সজাগ থাকতে হবে আমাদের মত সাধারণ মানুষদের।
পরিবেশপ্রেমী সৌরভ দত্ত এ প্রসঙ্গে জানান, বিভিন্ন পাখি এবং বন্যপ্রাণী এই পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এভাবে এই জালের কারণে মৃত্যু মুখে পড়তে থাকলে সমস্যা হবে পরিবেশের। এ বিষয়ে হাওড়া জেলার যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্যরা প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন বার্তা দিচ্ছে। জালে আটকে পড়া বিভিন্ন পাখি এবং চাষের জমিতে আটকে বারা বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার করছে। কিন্তু নজর এড়িয়ে বহু প্রাণহানি ঘটছে। তিনি আরো জানান এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে বলেই মনে করছেন।
Rakesh Maity