ইদানিং সাঁকরাইল বানিপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে তাকে, বিশেষ করে সন্ধার পর থেকে এলাকাতেই দেখা যায় বেশি, বছরখানেক আগে থেকে বেশি করে লক্ষ্য করা যায় এলাকাতে বলছেন স্থানীয়রা, নদনদে চেহারার প্রাণীটিকে দেখে প্রথম প্রথম বহু মানুষই বাড়িয়ে দিতেন খাবার দাবার, কারো বাড়ির আনাচ-কানাচ দোকানে দোকানে সন্ধার সময় বা সাত সকালে হাজির হত ভোলা।
advertisement
আরও পড়ুন - Weather Update: কলকাতায় ঝপঝপিয়ে নামছে তাপমাত্রা, বৃষ্টি -তুষারপাত দেশের একাধিক রাজ্যে
তবে ইদানিং ভোলার উপস্থিত হলেই এলাকার মানুষ সরে দাঁড়ান। কারণ এই ভোলা ইতিমধ্যে এলাকার বহু মানুষকে আহত করে দিয়েছে, জানা যায় পার্শ্ববর্তী এলাকার এক বৃদ্ধাকে গুঁতিয়ে প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে সে, এমন অভিযোগ ভোলার বিরুদ্ধে। তারপর গত মাস দুয়েক আগে এক চা বিক্রেতাকে সাত সকালে গিয়ে গুঁতিয়ে হাত ভেঙে দেয়। তারপর এক এক করে বহু মানুষই আহত হয়েছেন ভোলার তাণ্ডবে। এলাকার মানুষ চাইছেন দ্রুত ভোলাকে নিয়ে যাওয়া হোক এলাকা থেকে অন্যত্র।
কখনও কারও গোয়াল ঘরে ঢুকে লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে বা কখনো মুদি বা স্টেশনারি দোকানে তান্ডব চালাচ্ছে ভোলা, ভোলার তাণ্ডবে এলাকায় ছোটদের খেলাধুলাও যেন থমকে পড়েছে। পথ চলতি মানুষও সমস্যায় রয়েছে স্থানীয় মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে ভোলাকে নিয়ে অস্থির হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। এ বিষয়ে স্থানীয় মানুষ পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছেন কবে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে, পঞ্চায়েত প্রধান এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন তারাও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন প্রশাসন বা বনবিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেই আশাবাদী তারা।
রাকেশ মাইতি