এই শিল্পকর্ম আরও আকর্ষণীয় হয় আলোর ফোকাসের সামনে। আলোর সাজে মায়াবী হয়ে উঠছে নকশা ডিমের খোসা। আস্ত একখানা ডিম তার ওপর প্রথমে পেন্সিল দিয়ে নকশা। তারপর ডিমের ভিতরের অংশ ছোট্ট ছিদ্র করে বের করে নেওয়া। এরপর পাতলা খোলকে সতর্কতার সঙ্গে সৌখিন যন্ত্রের সাহায্যে খোদাই বা কাটিং। কাটিং যত সম্পূর্ণ তার দিকে এগোবে ততই সতর্কতা বাড়বে।
advertisement
ডিমের খোসার উপরের শক্ত আবরণ কাটিং হবার পর। ভিতরের পর্দার মত আস্তরণ শৌখন ছুরি বা ব্লেডেরসাহায্যে কাটিং। এভাবেই ডিমের খোসা সেজে উঠছে আকর্ষণীয়।
আরও পড়ুন : জারি কমলা ও হলুদ সতর্কতা! রাজ্যে লাগাতার চলবে ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব, জানুন পূর্বাভাস
শিল্পী গোবিন্দ হাজরা জানান, নতুন কিছু করার চিন্তাভাবনা সব সময় মনে থাকে। গত কুড়ি-একুশ দিন ধরে ডিমের খোসা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন। তারপর শুরু হয় কাজ। সাধারণত সারাদিন সংসার এবং প্রয়োজনীয় কাজ সেরে রাতেই শিল্পচর্চা। তিনি জানান, এক একটি ডিমের খোসায় ডিজাইন কাটিং করতে।
এক দুদিন আবার কোনওটা এক বেলায় তৈরি হচ্ছে। এপর্যন্ত প্রায় ২০ থেকে ২২ টি ডিমের খোসায় ডিজাইন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে আরোও কিছু তৈরি করার ইচ্ছে রয়েছে। গোবিন্দ বাবু জানান, এই ধরনের কাজ তাঁর নেশার মতো। রাত জেগে কাজ করে যখন প্রশংসিত হন, সেটাই পাওনা। তৈরি জিনিস টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন না। প্রশংসা বা মানুষের আনন্দ পাওয়াটা ভীষণ ভালবাসেন।