শুভাশিস, সন্দীপ মনোজ, সমীর, সন্দীপ, সুদীপ প্রত্যেকেই গুমাডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। কেউ বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্মী কেউ গ্রাম ছেড়ে দীর্ঘদিন রয়েছে ভিন রাজ্যে কর্মসূত্রে কেউবা বেসরকারি কোম্পানির কর্মী, তবে তাদের ইচ্ছা যে একই! গ্রামের কৃষ্টি সংস্কৃতি উন্নতি হোক গ্রামের ছেলে মেয়েরা ছোট থেকেই সাংস্কৃতিক চর্চা সঙ্গে যুক্ত হোক। এই চিন্তা ভাবনা ছিল দীর্ঘদিনের। প্রায় ১০-১২ বছর আগে চিন্তা ভাবনা ২-৩ জন যুবকের।সেই ভাবনাই থেকেই পাঠাগার প্রতিষ্ঠা পেল, সে সময় কখনো সুভাষের বাড়ি কখনো সন্দীপ আবার কখনো বা সুদীপের বাড়িতে সভা অনুষ্ঠিত হতো। যে যার কর্মস্থল থেকে এসে সন্ধায় বসত সভা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেহাল অবস্থায় সেতু! বিপজ্জনক ভাবেই চলছে পারাপার
এই সভায় মূল আলোচ্য বিষয় থাকতো ঋষি মনীষী মহাপুরুষদের বিষয়ক, তাঁদের জীবন, তাদের আদর্শ, তাদের মতাদর্শ যে কতখানি মানুষ ও প্রকৃত সমাজ গড়তে প্রয়োজন তা উপলব্ধি করেছিল। সেই থেকেই তাদের মনে ইচ্ছা জেগেছিল, কৃষ্টি সংস্কৃতির উন্নতি ঘটাতে গেলে মানুষকে পাঠ অভ্যাস করাতে হবে। সেই লক্ষ্যেই দীর্ঘদিন একটু একটু করে চেষ্টা গ্রামের মধ্যে একটা পাঠাগার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে কয়েকজন বন্ধু মিলে।
সেই স্বপ্নই বাস্তবে রূপায়িত হল 'মা সারদা পাঠাগার' বহু চেষ্টার পর একটি দোকান ঘরও মিলেছে। সেটাকেই পাঠাগার রূপে গড়েছেন। যেমন আলমারিতে সাজানো রয়েছে বই, সেই বইয়ের বেশিরভাগটাই ঋষি মনীষী কবি সাহিত্যিক মহাপুরুষ দেশের বীর সন্তান তাদের লেখাবা তাদের নিয়ে লেখা বই। সেই সঙ্গে তাদের বাঁধাই ছবি লাগানো হয়েছে দেওয়ালে। তাদের স্মরণে বছর জুড়ে চলে বিভিন্ন কর্মসূচি। সেই সঙ্গে অঙ্কন নাচ গান আবৃত্ত ঋষি মনীষীদের নিয়ে আলোচনা সভা।
আরও পড়ুনঃ হঠাৎই দুটি কিডনিই বিকল কিশোরের! পাশে দাঁড়াল আমতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
পাঠাগারে যেমন ধীরে ধীরে পাঠকের সংখ্যা বেড়েছে, সেই সঙ্গে তাদের এই কর্মকাণ্ডে তাদের সহযোদ্ধা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন অনেকে। গ্রামের মানুষ ছাড়াও দূর-দূরান্তের মানুষ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছেন। পাঠকদের মধ্যে যেমন স্কুল পড়ুয়া ,গ্রামের সাধারণ মানুষ রয়েছে সেই সঙ্গে গৃহবধুরাও উৎসাহিত, তারাও নিয়ম করে আসছেন পাঠাগারে। গ্রামের এই ছোট্ট পাঠাগার গ্রামের মানুষের সাংস্কৃতিক চর্চা নাচ গান আবৃত্তি মনীষীদের নিয়ে চর্চার একটি স্থান।
Rakesh Maity